কেদার অঙ্গ
উত্তর ভারতীয় সঙ্গীতশাস্ত্রে বর্ণিত রাগাঙ্গ বিশেষ।
কেদারের ছায়াবলম্বনে যে সকল রাগ সৃষ্টি, যাতে কেদারের সূরশৈলী
বিদ্যমান থাকে। শাস্ত্র মতে কেদার অঙ্গের ৮টি রাগ পাওয়া যায়। এগুলো হলো- কেদার,
নটকেদার, মারুকেদার, জলধর কেদার, চাঁদনী কেদার, মালুহার কেদার, শ্যাম কেদার ও মনোহর
কেদার।
-
কেদার:
এই অঙ্গের প্রধান রাগ। এই রাগের নামানুসারে এই অঙ্গের নামকরণ করা হয়েছে। এই
রাগের প্রধান স্বরগুচ্ছ হলো- স ম, মগ প, হ্মম মগ সর স।
- নট কেদার: এই রাগটির সাথে বিলাবল ঠাটের নট ব্যবহৃত হয়েছে। ফলে এই রাগে কড়ি মধ্যম ব্যবহৃত
হয় না। এই রাগে কেদারের ছায়া পড়ে স ম, গ ম গ ম প ব্যবহারের কারণে।
এর অবরোহণে সরস ম ব্যবহৃত হয়, কেদারের চলন-শৈলীতে।
- মারুকেদার: এই রাগটি মারু এবং কেদার রাগের সংমিশ্রণে সৃষ্টি হয়েছে। অবরোহণে কেদারের রূপটি স্পষ্ট হয়ে উঠে। এর আরোহে ধৈবত বক্র, আরোহণে গ ম ধ প ব্যবহারের সময় কেদারের রূপ স্পষ্ট খুঁজে পাওয়া যায়।
সূত্র :
- রাগ বিজ্ঞান অভিধান। নিত্যানন্দ কর্মকার। প্রগ্রেসিভ
পাবলিশার্স। ফেব্রুয়ারি ২০০৭