মালবশ্রী
ভারতীয় শাস্ত্রীয়
সঙ্গীতে রাগ বিশেষ।
প্রাচীন গ্রন্থাদিতে (শৈবসঙ্গীত, রাগ-বিবোধ ইত্যাদি) বলা হয়েছে
এই রাগটি শিব সৃষ্টি করেছিলেন।
অহবলের রচিত সঙ্গীত পারিজাতে বলা হয়েছে- এই রগাটি মধ্যম গ্রামের সৌবীরী মূর্চ্ছনা
থেকে উৎপন্ন হয়েছে। এই বিচারে এর স্বরবিন্যাসের ভিত্তি ছিল- ম প ধ ন র্স র্র
র্গ- র্গ র্র র্স ন ধ প ম। এর বাদী বা অংশ স্বর ধৈবত এবং গান্ধার সম্বাদী। এর ন্যাস
স্বর পঞ্চম।
ভরত মতে- এই রগটি ছিল শ্রী রাগের রাগিণী। সঙ্গীত দামোদর মতে- এটি মালব রাগের
রাগিণী। শিবমতে এটি ছিল শ্রীরাগের মেল। একে বলা হয়েছে দেশ রাগের শোভা বা শ্রী।
এই মতে এই রাগের গ্রহ, অংশ ও ন্যাস সম্বাদী পঞ্চম। এই রাগে ব্যবহৃত হয়- তীব্র
ঋষভ, সাধারণ ধৈবত, তীব্র কৈশিকী। এর শ্রুতি সংখ্যা ছিল যথাক্রমে- ১-৪-১০-১৩। এর ষড়জ,
মধ্যম ও পঞগচম ছিল শুদ্ধ।
সঙ্জগীত রত্নাকরের মতে- মালব কৈশিক রাগের ভাষা (মেল) থেকে এই রাগিণীর উৎপত্তি
হয়েছিল। ভরতের মতে -এই রাগের এটি মালব কৈশিকের মিশ্র রাগ। এর বাদী ও ন্যাস ষড়্জ,
সম্বাদী পঞ্চম। এই রাগটি সকল স্বর থেকেই সমানভাবে পরিবেশন করা যায়। তাই এই রাগকে
বলা হয়েছে সমস্বরা।
বর্তমানে এই রাগটি দক্ষিণ ভারতে প্রচলিত আছে।
আরোহণ
:
স জ্ঞ ম প ন ধ ণ ধ
ণ র্স
অবরোহণ : র্স
ণ ধ প ম জ্ঞ স
মেল
খরহরপ্রিয়া/শ্রীরাগ
জাতি
: ষাড়ব-ষাড়ব [ঋষভ বর্জিত]।
তথ্যসূত্র:
- রাগ বিজ্ঞান অভিধান। নিত্যানন্দ কর্মকার। প্রগ্রেসিভ
পাবলিশার্স। ফেব্রুয়ারি ২০০৭।
- সঙ্গীত পারিজাত। অহোবল।