প্রাচীন ভারতীয় সঙ্গীত শাস্ত্রে বর্ণিত
গ্রামরাগ বিশেষ।
এটি মধ্যম গ্রাম থেকে উৎপন্ন হয়েছিল। খ্রিষ্টীয় দ্বিতীয় শতাব্দীর দিকে ভরতের নাট্যশাস্ত্রে এই রাগটি ভিন্ন
গীতরীতির জাতিগান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। জাতির বিচারে
এই গ্রাম রাগটি মধ্যম গ্রামের শুদ্ধ জাতির
মধ্যমা,
পঞ্চমী থেকে উদ্ভব হয়েছিল।
ভিন্নতান রাগের পরিচয়
- গ্রাম: মধ্যম
- গীতি: শুদ্ধ
জাতি
মধ্যমা,
পঞ্চম
থেকে উদ্ভব হয়েছিল
- গ্রহস্বর: পঞ্চম
- অংশস্বর: পঞ্চম
- ন্যাসস্বর: মধ্যম
- জাতি: সম্পূর্ণ-সম্পূর্ণ
- অল্পত্ব: মধ্যম ও
নিষাদ
- ব্যবহৃত বিকৃত স্বর:
কাকলী নিষাদ
- রস: করুণ
- তাল: চচ্চৎপুট
- মার্গ: চিত্রা,
বার্তিক ও দক্ষিণ
- প্রয়োগ: নাটকে
ব্যবহৃত ধ্রুবাগানে ব্যবহৃত হতো।
খ্রিষ্টীয় ষষ্ঠ শতাব্দীতে
মতঙ্গের রচিত বৃহদ্দেশী গ্রন্থে এবং খ্রিষ্টীয় ত্রয়োদশ শতাব্দীতে
শার্ঙ্গদেবের
রচিত
সঙ্গীতরত্নাকরে এই রাগের উল্লেখ রয়েছে। নিচে শার্ঙ্গদেবের রচিত
সঙ্গীতরত্নাকরে এর আক্ষিপ্তিকা দেওয়া আছে।

তথ্যসূত্র:
- নাট্যশাস্ত্র (চতুর্থ খণ্ড)। ভরত। বঙ্গানুবাদ: ডঃ সুরেশচন্দ্র
বন্দ্যোপাধ্যায় ও ডঃ ছন্দা চক্রবর্তী। নবপত্র প্রকাশন।ডিসেম্বর ২০১৪। পৃষ্ঠা:
১৯
- বৃহদ্দেশী। মতঙ্গ। সম্পাদনা রাজ্যেশ্বর মিত্র। বিশ্বভারতী, কলকাতা। পৃষ্ঠা
১৫৬-১৫৭।
- সঙ্গীতরত্নাকর। শার্ঙ্গদেব। সুরেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়
অনূদিত। রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। ২২ শ্রাবণ ১৪০৮।