নেপচুন
বানান বিশ্লেষণ : ন্+এ+প্+অ+চ্+উ+ন্+অ।
উচ্চারণ:
nep.
cʃun (নেপ্.চুন্)
শব্দ-উৎস: ইন্দো-ইউরোপীয় শব্দ neptu {nebh (জলীয়)+tu প্রত্যয়}> ল্যাটিন Neptunus (রোমান সমুদ্র দেবতা)>ইংরেজি Neptune>বাংলা নেপচুন
পদ: বিশেষ্য
উর্ধ্বক্রমবাচকতা { | রোমান দৈবসত্তা | দৈবসত্তা | আধ্যাত্মিক সত্তা | বিশ্বাস | ্রজ্ঞা | জ্ঞান | মনস্তাত্ত্বিক বিষয় | বিমূর্তন | বিমূর্ত-সত্ত | সত্তা |}

রোমান পৌরাণিকি কাহিনি মতে, সমুদ্র ও মিষ্টি পানির দেবতা। এর সমতুল্য গ্রিক দেবতা পোসেইডোন। এর অপর দুই ভাইয়ের নাম জুপিটর ও প্লুটো। এর পিতার নাম স্যাটার্ন। জুপিটারের নেতৃত্বে তাঁর সকল ভাই পিতার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন। এই যুদ্ধে স্যাটার্ন পরাজিত হলে, জুপিটর স্বর্গের রাজা হন। এই সময় সমুদ্রের অধিকার লাভ করেন নেপচুন। রোমানরা মনে করতেন নেপচুনের ক্রোধের কারণে ভূমিকম্পের সৃষ্টি হয়।

 

একবার জলপরী এ্যাম্পিফ্রিটে (Amphitrite)-এর নৃত্যরতা অবস্থায় দেখে মুগ্ধ হন এবং তাঁর কাছে প্রেম নিবেদন করেন। এ্যাম্পিফ্রিটে এই নিবেদন প্রত্যাখ্যান করে অন্যত্র চলে যান। এরপর নেপচুন একটি ডলফিনকে তাঁর কাছে পাঠান। ডলফিনটি ক্রমাগত এ্যাম্পিফ্রিটে-এর কাছে নেপচুনের প্রশংসা করতে থাকে। শেষ পর্যন্ত এ্যাম্পিফ্রিটে নেপচুনের আহ্বানে সাড়া দেন। এই সফলতার জন্য নেপচুন ডলফিনটিকে অমরত্ব দান করে নক্ষত্রলোকে স্থান দেন। রোমান জ্যোতির্বিজ্ঞানে মহাকাশের একটি নক্ষত্রমণ্ডলীর নাম রাখা হয়েছে  Dolphinus

 

এই দেবতার উদ্দেশ্য ২৩শে জুলাই একটি উৎসব হতো। এর নাম ছিল Neptunalia। এই প্রাচীন উৎসবটি আদ্য রোমান যুগে প্রচলিত হয়েছিল। সে সময়ে নেপচুন ছিল ঝরনা, নদী, কূপ ইত্যাদি মিষ্টি পানির জলাশয় এবং জলের দেবতা। পরে গ্রিক পোসেইডোন চরিত্রের সাথে একীভূত হয়ে গেছে।


সূত্র :