অম্বালিকা
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা
{|
হিন্দু দৈবসত্তা
|
দৈবসত্তা
|
আধ্যাত্মিক সত্তা
|
বিশ্বাস
|
প্রজ্ঞা
|
জ্ঞান |
মনস্তাত্ত্বিক বিষয়
|
বিমূর্তন
|
বিমূর্ত-সত্তা
|
সত্তা
|}
১.
দুর্গা দেবীর অপর নাম।
দেখুন :
দুর্গা
২.
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা
{
পৌরাণিক সত্তা
|
কাল্পনিকসত্তা
|
কল্পনা
|
সৃজনশীলতা
|
দক্ষতা
|
জ্ঞান |
মনস্তাত্ত্বিক বিষয়
|
বিমূর্তন
|
বিমূর্ত-সত্তা
|
সত্তা
|}
হিন্দু পৌরাণিক কাহিনি মতে–
কাশীরাজের কনিষ্ঠা কন্যা।
এঁর অপর দুই বানের নাম হলো- অম্বা ও অম্বিকা।
ভীষ্ম
তাঁর সৎভাই বিচিত্রবীর্যের জন্য এই তিন বোনকে স্বয়ংবর সভা থেকে অপহরণ করেন।
ভীষ্মের সৎমাতা সত্যবতীর পুত্র বিচিত্রবীর্যের সাথে অম্বিকা ও অম্বালিকাকে বিবাহ
দেন।
এই দুই বানের সাথে বিচিত্রবীর্যের অপরিমিত যৌনাচারের ফলে,
সাত বৎসর বয়সে যক্ষ্মারোগে তাঁর মৃত্যু হয়।
এই দুই বোনের কোনো সন্তান না থাকায়- এঁদের শাশুড়ী সত্যবতী বংশরক্ষার জন্য তাঁর অপর
পুত্র ব্যাসদেবের সাথে সহবাস করতে বলেন।
ব্যাসদেব মাতৃ আজ্ঞা রক্ষার জন্য এঁরা এই সহবাসে রাজী হন।
এক নির্দিষ্ট রাতে ব্যাসদেব অম্বিকার কাছে সঙ্গমের জন্য আসেন।
ব্যাসদেব ছিলেন বিরাটকায় পুরুষ।
অম্বিকা
ঋষিকে দেখে ভয়ে চোখ বন্ধ করে রইলেন।
এবং সঙ্গম শেষ না হওয়া পর্যন্ত চোখ খুললেন না।
অম্বিকার ঘর থকে বের হয়ে এসে ঋষি তাঁর মাকে বললেন যে– এই কন্যার একটি অন্ধ
পুত্র-সন্তান জন্মগ্রহণ করবে,
কারণ সঙ্গমকালে কন্যা চোখ বন্ধ করে ছিল।
পরে ইনি এক অন্ধপুত্র প্রসব করেন।
এই অন্ধপুত্রই হলেন মহাভারতে অন্যতম চরিত্র ধৃতরাষ্ট্র।
সত্যবতী অন্ধ-সন্তানের কথা শুনে ভাবলেন, রাজ্য রক্ষায় অন্ধ-সন্তান অপারগ হবে। তাই ঋষিকে বললেন যে, অম্বালিকাকে সে একটি সন্তান দান করুক। ঋষি মাতৃ-আজ্ঞায় এক নির্দিষ্টরাতে অম্বালিকার শয়নকক্ষে এলেন। অম্বালিকাও ঋষিকে দেখে প্রচণ্ড ভয় পলেন। কিন্তু চোখ বন্ধ করলে অন্ধ সন্তান হবে এই ভয়ে– চোখ খুলে রাখলেন। কিন্তু সেই বিরাটকায় পুরুষের প্রবল সঙ্গমের প্রচণ্ডতায় ও ভয়ে অম্বালিকা পাণ্ডুবর্ণের হয়ে গেলেন। অম্বালিকার ঘর থেকে বের হয়ে এসে ঋষি তাঁর মাকে বললেন যে– এই কন্যার একটি পুত্র-সন্তান জন্মগ্রহণ করবে। তবে এই পুত্র পাণ্ডুবর্ণের হবে। এই পুত্র হলেন মহাভারতে অন্যতম চরিত্র পাণ্ডু। শেষ জীবনে ইনি তাঁর মধ্যমা ভগ্নি অম্বিকার সাথে বনে চলে যান এবং তপস্যায় জীবন অতিবাহিত করেন।