অম্বরীষ
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা
{
পৌরাণিক সত্তা
|
কাল্পনিকসত্তা
|
কল্পনা
|
সৃজনশীলতা
|
দক্ষতা
|
জ্ঞান |
মনস্তাত্ত্বিক বিষয়
|
বিমূর্তন
|
বিমূর্ত-সত্তা
|
সত্তা
|}
হিন্দু পৌরাণিক কাহিনিতে
এই নামে এই একাধিক চরিত্র পাওয়া যায়। যেমন–
১. ইনি সূর্যবংশীয় রাজা নাভাগের অত্যন্ত বিষ্ণুভক্ত পুত্র। রাজা হিসাবে ইনি অত্যন্ত প্রজাবৎসল ছিলেন। এ কারণে বিষ্ণু, এই রাজার রাজ্য রক্ষার জন্য তাঁকে সুদর্শন-চক্র দান করেছিলেন।
একবার অম্বরীষ
বর্ষব্যাপী ব্রত উদ্যাপন শেষে,
তিন দিনের উপবাসকাল সমাপ্ত করেন এবং দ্বাদশী তিথিতে পারণে বসার উদ্যোগ নেন।
এমন সময় দুর্বাসা মুনি তাঁর কাছে খাদ্য প্রার্থনা করেন।
রাজা তাতে সম্মতি জানালে– দুর্বাসা স্নান করতে গেলেন।
স্নান থকে এঁর ফিরতে দেরি হলে– সমাগত ব্রাহ্মণদের অনুমতি নিয়ে রাজা আসনে বসে
বিষ্ণুপাদোদক পান করেন।
দুর্বাসা স্নান থেকে ফিরে সমস্ত বিষয় জেনে ক্রোধে তাঁর জটা ছিন্ন করে ভূতলে নিক্ষেপ
করেন।
এই জটা থেকে এক উগ্রদেবতার উদ্ভব হয়।
উক্ত দেবতা আবির্ভূত হয়েই অম্বরীষকে হত্যা করতে উদ্যত হলে,
বিষ্ণু প্রদত্ত সুদর্শন চক্র সেখানে এসে উগ্রদেবকে ভষ্মীভূত করে দুর্বাসাকে হত্যা করতে
উদ্যত হয়।
দুর্বাসা এই চক্রের আঘাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য শ্রীকৃষ্ণের কাছে আশ্রয় প্রার্থনা
করেন।
শ্রীকৃষ্ণ অম্বরীষের কাছে ক্ষমা চাওয়ার পরামর্শ দেন।
এরপর দুর্বাসা অম্বরীষের কাছে ক্ষমা চেয়ে আশ্রয় প্রার্থনা করলে– ইনি রক্ষা পান। এর কিছুদিন পর
অম্বরীষ তাঁর পুত্রদের হাতে রাজ্যভার অর্পণ করে তপস্যার জন্য বনবাসী হন।
২.
পুলহ-নামক জনৈক ব্রহ্মর্ষির পুত্র।
৩.
নরক বিশেষ।
৪.
মান্ধাতার ঔরসে বিন্দুমতীর গর্ভে এঁর জন্ম হয়েছিল।
এঁর অপর নাম হলো ধর্মসেন।
৫.
সূর্যবংশীয় সুশ্রুকের পুত্র।
ইনি একটি যজ্ঞের আয়োজন করলে,
ইন্দ্র
যজ্ঞের পশু অপহরণ করেন।
পরে তিনি যজ্ঞ সম্পন্ন করার জন্য ঋচিক মুনির পুত্র শুনঃশেফকে ক্রয় করেছিলেন।
দেখুন : শুনঃসেফ
৬.
মহাদেব ও বিষ্ণুর অপর নাম।