অঙ্গারপর্ণ
বানান বিশ্লেষণ:
অ+ঙ্+গ্+আ+র্+প্+অ+র্+ণ্+অ।
উচ্চারণ:
ɔŋ.ga.ro.pɔrn.no
(অঙ্.গা.রো+পর্ন্.নো)
অঙ্.গার্+পর্ন্.নো [অ অর্ধ-বিবৃত ধ্বনি হিসেব উচ্চারিত হবে। এর পরবর্তী ঙ্গ বিভাজিত হয়ে ঙ্.গ হবে। এর ঙ, আগের অ ধ্বনির সাথে যুক্ত হয়ে অঙ্ ধ্বনি তৈরি করবে। অবশিষ্ট গ ধ্বনি আকারন্ত হয়ে একাক্ষর হিসেবে উচ্চারিত হবে। এর পরের র ওকারন্ত হবে, পর্ণ ধ্বনির পূর্ব-ধ্বনি হিসেবে। পরের পর্ণ ধ্বনি র্ণ্.ণো হিসেবে বিবভাজিত হবে। আগের প ধ্বনির সাথে এর র্ণ্ যুক্ত হয়ে পর্ন্ উচ্চারিত হবে। শেষের ণো ধ্বনি নো হিসেবে উচ্চারিত হবে।]
শব্দ-উৎস:
সংস্কৃত
अङ्गारपर्ण
(অঙ্গারপর্ণ)>বাংলা অঙ্গারপর্ণ
পদ:
বিশেষ্য
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা
{
পৌরাণিক সত্তা
|
কাল্পনিকসত্তা
|
কল্পনা
|
সৃজনশীলতা
|
দক্ষতা
|
জ্ঞান |
মনস্তাত্ত্বিক বিষয়
|
বিমূর্তন
|
বিমূর্ত-সত্তা
|
সত্তা
|}
হিন্দু
পৌরাণিক কাহিনি মতে,
অঙ্গারপর্ণ
ছিলেন কুবেরের বন্ধু এবং দেবরাজ ইন্দ্রের রথের সারথী।
এর উদ্যানের নামও ছিল অঙ্গারপর্ণ।
এঁর একটি চিত্রময় রথ ছিল,
এই
কারণে এর অপর নাম ছিল চিত্ররথ।
পঞ্চপাণ্ডব একচক্রা থেকে পাঞ্চালের পথে যাওয়ার সময়, অঙ্গারপর্ণ সোমাশ্রয়ণ তীর্থে সখীদের সাথে নিয়ে জল-বিহার করছিলেন।
এমন সময়
পাণ্ডবরা, সেখানে উপস্থিত হলে,
জল-বিহারে বিঘ্ন ঘটে।
এ
কারণে অঙ্গারপর্ণ রেগে যান এবং অর্জুনের সাথে তর্ক-বিতর্কে জড়িয়ে পরেন। শেষ
পর্যন্ত এই তর্ক-বিতর্ক যুদ্ধ পরিণত হয়।
যুদ্ধে অর্জুন অঙ্গারপর্ণকে পরাজিত কর বন্দী করেন এবং তাঁর রথ পুড়িয়ে দেন।
এর থেকে
অঙ্গারপর্ণের নাম হয়- দগ্ধরথ।
এরপর অঙ্গারপর্ণের স্ত্রী কুম্ভীনসী যুধিষ্ঠিরের কাছে স্বামীর মুক্তির আবেদন করেন।
যুধিষ্ঠিরের আদেশে অর্জুন তাঁকে ছেড়ে দেন।
পরে অর্জুনের সাথে তাঁর সখ্য স্থাপিত হয়। তিনি পঞ্চপাণ্ডবের প্রত্যেককে গন্ধর্বদেশীয় ঘোড়া উপহার দেন এবং অর্জুনকে চাক্ষুষ বিদ্যা শিক্ষা দান করেন। এই বিদ্যার পরিবর্তে অর্জুন তাঁকে কিছু আগ্নেয়াস্ত্র দান করেন। এঁরই পরামর্শে পাণ্ডবেরা ধৌম্যকে পৌরহিত্যে বরণ করেন।