কর্দম [কর্দ্.দোম্]
[kɔd̪.d̪om]
সংস্কৃত
कर्द्दम
কর্দ্দম>বাংলা কর্দম
বিশেষ্য
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা
{
পৌরাণিক সত্তা
|
কাল্পনিকসত্তা
|
কল্পনা
|
সৃজনশীলতা
|
দক্ষতা
|
জ্ঞান |
মনস্তাত্ত্বিক বিষয়
|
বিমূর্তন
|
বিমূর্ত-সত্তা
|
সত্তা
|}
হিন্দু
পৌরাণিক কাহিনিতে―
এই নামে দুটি চরিত্রের নাম পাওয়া যায়। এই চরিত্র দুটি হলো―
১.১
ব্রহ্মার পুত্র এবং প্রজাপতি বিশেষ।
সরস্বতী নদীর তীরে তিনি দশহাজার বৎসর
বিষ্ণুর আরাধনা করেন।
আরাধনায় সন্তুষ্ট হয়ে
বিষ্ণু দর্শন দিলে,
তিনি তাঁর কাছে উপযুক্ত স্ত্রী প্রার্থনা
করেন।
বিষ্ণু স্বায়ম্ভুব মনুর কন্যা দেবহুতিকে বিবাহ করতে আদেশ করেন।
এরপর তিনি দেবহুতিকে বিবাহ করেন।
এঁর ঔরসে এবং দেবহুতির গর্ভে পর পর নয়টি কন্যা-সন্তান জন্মে।
পুত্র সন্তান না হওয়ায় তিনি যোগাভ্যাসের জন্য অরণ্যে চলে যান।
এতে দেবহুতি অত্যন্ত চিন্তিত হয়ে অরণ্যে তাঁর কাছে যান এবং কর্দমকে একটি হরির মতো
পুত্র দান করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন।
এরপর
কর্দম আবার ঘরে ফিরে আসেন।
যথাসময়ে
দেবহুতির গর্ভে তাঁর একটি পুত্রের জন্ম হয়।
কর্দম
এই পুত্রের নাম রাখেন কপিল।
তিনি কন্যাদের বিবাহ দিয়ে সংসার ত্যাগ করেন।
উল্লেখ্য কর্দম দেবহুতির পরিচর্যায় সন্তুষ্ট হয়ে তাঁকে দিব্যজ্ঞান দান করেছিলেন।
এর কন্যা কলার সাথে ঋষি
মরীচি'র
বিবাহ হয়েছিল।
১.২ ঋষি পুলহের ঔরসে ক্ষমার গর্ভে জন্মগ্রহণ করেন। এঁর সাথে অঙ্গিরার কন্যা সিনিবালির বিবাহ হয়। সিনিবালি চন্দ্রের রূপে মুগ্ধ হয়ে কর্দমকে ত্যাগ করে চন্দ্রের ভজনা শুরু করেন। এতে কর্দম রুষ্ঠ হয়ে অত্রির কন্যা শ্রুতিকে বিবাহ করেন। শ্রুতির গর্ভে তাঁর পুত্র শঙ্খপাদ ও কন্যা কাম্যার জন্ম হয়। এঁর পুত্র শঙ্খপাদ সম্পর্কে তেমন কিছু পাওয়া যায় না। আর বিষ্ণু পুরাণের মতে কন্যা কাম্যাকে বিবাহ করেছিলেন রাজা প্রিয়ব্রত। প্রিয়ব্রতের ঔরসে কাম্যার গর্ভে দুটি কন্যা ও দশটি পুত্র জন্মেছিল। এঁর অপর দুই ভাইয়ের নাম ছিল- চার্ববীর ও সহিষ্ণু। এদের সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানা যায় না।