কাশ্যপ
হিন্দু পৌরাণিক
কাহিনিগুলোতে- এই নামে একাধিক চরিত্র পাওয়া যায়।
যেমন—
১. ইনি দশরথের রাজসভার একজন যাজক এবং মন্ত্রী ছিলেন। [সপ্তম সর্গ। বালখণ্ড। বাল্মীকি রামায়ণ]
২. কশ্যপ মুনির পুত্র। ইনি একজন যোগপরায়ণ ঋষি ছিলেন।
৩. জনৈক মুনি। এঁর পুত্রের নাম ছিল বিভাণ্ডক।
৪. জনৈক বিষবিদ্যায় পারদর্শী ব্রাহ্মণ চিকিৎসক। জনৈক মুনিপুত্র রাজা পরীক্ষিৎকে অভিশাপ দেন যে, সাত দিনের মধ্যে তক্ষক নামক নাগের দংশনে মারা যাবেন। এই দংশন থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য পরীক্ষিৎ কাশ্যপকে ডাকেন। ইনি পরীক্ষিতের কাছে যাওয়ার সময় পথে তক্ষকের সাথে দেখা হয়। তক্ষক বলেন, তুমি কোন ক্রমেই রাজাকে বাঁচাতে পারবে না। ব্রাহ্মণ কৃতকার্যতার বিষয়ে দৃঢতা প্রকাশ করলে পরীক্ষার্থে তক্ষক নিকটস্থ একটি বটগাছকে দংশন করেন। বিষের প্রভাবে বটগাছ জ্বলতে থাকলে- ব্রাক্ষণ স্বীয় বিদ্যাবলে গাছটিকে রক্ষা করলেন। এরপর তক্ষক ধনলোভী ব্রাহ্মণকে অর্থের প্রলোভন দেখিয়ে ব্রাহ্মণকে হস্তিনাপুরে যেতে নিষেধ করেন। কাশ্যপ ধ্যানযোগে পরীক্ষিতের মৃত্যু জেনে হস্তিনাপুরে না গিয়ে তক্ষকের উপহার নিয়ে নিজ দেশে ফিরে যান।