রাক্ষস
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা { পৌরাণিক সত্তা | কাল্পনিকসত্তা | কল্পনা | সৃজনশীলতা | দক্ষতা | জ্ঞান | মনস্তাত্ত্বিক বিষয় | বিমূর্তন | বিমূর্ত-সত্ত | সত্তা |}

হিন্দু পৌরাণিক কাহিনি মতে রাক্ষস বলতে মানুষ খেকো প্রবল শক্তির অধিকারী ও নীতিজ্ঞান বিবর্জিত প্রাণীদের বুঝানো হয় এঁরা আকৃতিগত দিক থেকে মানুষের মত হলেও ভয়ঙ্কর রূপের অধিকারী হিংস্রতা ও জাদুকরী শক্তির অধিকারী ছিল বলে, এদেরকে ভয়ঙ্কর হিসাবে বিবেচনা করা হতো তবে ভারতবর্ষে আর্যদের আসার আগে, যে জাতি বসবাস করতো, আর্যরা তাদেরকেও রাক্ষস নামে চিহ্নিত করেছিলেন

হিন্দু পৌরাণিক কাহিনিগুলোতে, রাক্ষসদেরকে তিনটি শ্রেণীতে বিভক্ত করা হয়েছে ভাগ তিনটি হলো

১. যক্ষ সদৃশ : যক্ষের মতো শক্তিশালী ও জাদুবিদ্যায় পারদর্শী অপেক্ষাকৃত সভ্য
২. দেব শত্রু : এরা অত্যন্ত শক্তিশালী এবং যোদ্ধা অধিকাংশ সময় দেবতাদের সাথে যুদ্ধ করতো এরা দেবতা, ঋষি ও নারী নির্যাতন করতো
৩. দানব সদৃশ : এরা রাক্ষসদের মধ্যে নিকৃষ্ট এরা সকল অপবিত্র ও নিষিদ্ধস্থানে ঘুরে বেড়াত মানুষসহ সকল প্রাণীদের কাঁচা মাংস খেতো এরা দৈহিক শক্তি প্রয়োগ করে যজ্ঞ, ঋষিদের আশ্রম, রাজ্যপাট হিংস্র পশুর মতো ধ্বংস করতো

রামায়ণের মতে প্রজাপতি ব্রহ্মা প্রথমে জল সৃষ্টি করেন এরপর প্রাণী সৃষ্টি করে তাদের বললেন তোমরা সযত্নে এই জল রক্ষা কর প্রাণীদের একদল বললেন রক্ষামঃ (রক্ষা করব) এই দল রাক্ষস নামে পরিচিতি লাভ করে বিষ্ণু পুরাণের মতে মহর্ষি কশ্যপের ঔরসে দক্ষ-কন্যা সুরসা বা খসা'র গর্ভে রাক্ষসদের জন্ম হয় কথিত আছে যে, শিব ও পার্বতী রাক্ষসদের বর দিয়েছিলেন যে রাক্ষস কন্যারা গর্ভধারণ মাত্রই সন্তান প্রসব করবে এবং উক্ত সন্তান মায়ের গুণ লাভ করে মায়ের সমকক্ষ হবে