অট্টিস
ইংরেজি
Attis,
ভিন্ন
বানান
Atys>বাংলা
অট্টিস।
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা
{
|
ফ্রিজিয়ান দৈবসত্তা
|
দৈবসত্তা
|
আধ্যাত্মিক
সত্তা
|
বিশ্বাস
|
প্রজ্ঞা
|
জ্ঞান |
মনস্তাত্ত্বিক বিষয়
|
বিমূর্তন
|
বিমূর্ত-সত্তা
|
সত্তা
|}
ফ্রিজিয়া
অঞ্চলের পৌরাণিক কাহিনী মতে- ইনি ছিলেন একজন উপদেবতা। দানব অগ্ডিস্টিস (Agdistis)
ছিলেন নর-নারীর দ্বৈত-সত্তার অধিকারী। অলিম্পিয়ান দেবতারা অগ্ডিস্টিসকে অত্যন্ত ভয়
পেতেন। এঁরা কৌশলে অগ্ডিস্টিসের পুরুষাঙ্গ কেটে দূরে ফেলে দেন। পতিত এই অঙ্গ থেকে
একটি এ্যালমণ্ড (almond-tree)
গাছ জন্মে। এই গাছের ফল পাকলে, লোভের বশে স্যাঙ্গারিয়স (Sangarios)
নদীর কন্যা নানা (Nana)
একটি এ্যালমন্ড ফল নিয়ে কোলে রাখেন। এই ফল ধীরে ধীরে তার জরায়ুতে প্রবেশ করলে, নানা
গর্ভবতী হয়ে পড়েন। পরে ইনি একটি পুত্র সন্তান প্রসব করেন। এই শিশু পুত্রকে নানা পরিত্যাগ
করলে, দেবী
সিবেলে
(Cybele)
প্রতিপালন করেন এবং নাম রাখেন অট্টিস। কোনো কোনো মতে- ইনি সরাসরি এ্যালমণ্ড ফল থেকে
জন্মেছিলেন।
ইনি প্রাপ্ত বয়স্ক হলে–
সিবেল তাঁর প্রেমে পড়েন। এই অবস্থায় ইনি পেসিনসের (Pessinos)
রাজার কাছে আসেন। কোনো কোনো মতে– এই পেসিনসের রাজা ছিলেন মূলত রাজা মিডাস (Midas)।
অট্টিস
দেখতে দেবতাদের মতো সুন্দর ছিলেন। একারণে পেসিনসের রাজা তাঁর কন্যার সাথে বিবাহের
ব্যবস্থা করেন। বিবাহ আসরে বিবাহের গান শুরু হলে– অগ্ডিস্টিস (মতান্তরে
সিবেলে)
অলৌকিক ক্ষমতায় হাজির হন। এরপর অট্টিস পাগল হয়ে যান এবং নিজের পুরুষাঙ্গ কেটে
ফেলেন। এরপরে রাজা ইনি অট্টিসের সাথে তাঁর কন্যার বিবাহ দেন। তুরস্কের এফেসাস যাদুঘরে
এর একটি ভাস্কর্য
রক্ষিত আছে।