ছ
আন্তর্জাতিক ধ্বনিলিপি
:
cʰɔ
ইউনিকোড :
u+099B
বিশেষ্য
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা
{|
বর্ণ
|
বর্ণচিহ্ন |
লিখিত প্রতীক
|
প্রতীক
|
সঙ্কেতচিহ্ন
|
যোগাযোগ |
বিমূর্তন
|
বিমূর্ত
সত্তা
|
সত্তা
|}
সমার্থকশব্দসমূহ
(synonyms)
:
ছ।
এই বর্ণের নাম
-চ
।
বাংলা বর্ণমালার
অষ্টাদশ (১৮)
বর্ণ,
ব্যঞ্জনবর্ণের
সপ্তম
বর্ণ।
ব্যঞ্জনবর্ণের পাঁচটি বর্গের
দ্বিতীয়
বর্গের শ্রেণী পরিচিতি মূলক নাম:
চ-বর্গ
এবং এই বর্গের দ্বিতীয় বর্ণ।
এর মূল ধ্বনি ছ্।
অ-ধ্বনি যুক্ত হওয়ার পর
এর চিহ্ন দাঁড়ায় ছ।
এটি
প্রশস্ত
দন্তমূলীয়
তালব্য
ধ্বনি (Dorso-Alveolar,
Palatal),
অঘোষ,
মহাপ্রাণ
ও স্পর্শ বর্ণ।
শ্রবণ নমুনা
ছ-এর লিপি পরিচিতি
অন্যান্য বাংলা লিপির মতই
ব্রাহ্মীলিপি
থেকে ছ-বর্ণটি উদ্ভূত হয়েছে।
ব্রাহ্মীলিপিতে
লিখিত
ছ-বর্ণটির যে নমুনা পাই,
তাতে দেখা যায় যে,
এর নিচের দিকে একটি গোলক রয়েছে এবং এই গোলকের মাঝখান থেকে একটি উলম্ব রেখা উঠে
এসেছে।
খ্রিষ্টপূর্ব ৩য়-১ম শতাব্দীর ভিতরে ব্রাহ্মীলিপির বিভিন্ন পরিবর্তন হলেও,এই
বর্ণটির মূল কাঠামো একই ছিল।
নিচের ছকে ব্রাহ্মীলিপিতে ছ-বর্ণটির ক্রমবিবর্তনের ধারা তুলে ধরা হলো।
কুষাণলিপিতে (১০০-৩০০ খ্রিষ্টাব্দ) এই পরিবর্তন অব্যাহত থাকলেও, কোন কোন রচনায় ছ-এর চেহারা ব্রাহ্মীলিপির মতই পাওয়া যায়। গুপ্তলিপিতে (৪০০-৫০০ খ্রিষ্টাব্দ) এই বর্ণের আকারগত বৈচিত্র্য অধিকাংশ ক্ষেত্রে কুষাণলিপির সংস্করণ মনে হয়। গুপ্তলিপিতে এই বর্ণে বেশ পরিবর্তন ঘটে। নিচের চিত্রে ব্রাহ্মীলিপি থেকে গুপ্তলিপি পর্যন্ত ছ-বর্ণের রূপান্তরের নমুনা দেখানো হলো―
খ্রিষ্টীয় ৬ম-৯ম শতাব্দীতে ছ ছিল কুষাণলিপির মতো। ক্রমবিবর্র্তনের ধারায় সপ্তদশ শতাব্দীতে এসে এই বর্ণটি ব-এর আকার ধারণ করেছিল। আধুনিক ছ-বর্ণটি পুরোপুরিভাবে এসেছে সপ্তদশ শতাব্দীর পরে। নিচে কুটিললিপি থেকে বর্তমানকাল পর্যন্ত ছ-এর ক্রমবিবর্তনের রূপটি দেখানো হলো।