আন্তর্জাতিক ধ্বনিলিপি : cʰɔ
ইউনিকোড :  u+099B
বিশেষ্য
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা {| বর্ণ | বর্ণচিহ্ন | লিখিত প্রতীক | প্রতীক | সঙ্কেতচিহ্ন | যোগাযোগ | বিমূর্তন | বিমূর্ত সত্ত | সত্তা |}
সমার্থকশব্দসমূহ (synonyms)
:

এই বর্ণের নাম - বাংলা বর্ণমালার দশ (১) বর্ণ, ব্যঞ্জনবর্ণের বর্ণ ব্যঞ্জনবর্ণের পাঁচটি বর্গের দ্বিতীয় বর্গের শ্রেণী পরিচিতি মূলক নাম: -বর্গ এবং এই বর্গের দ্বিতীয় বর্ণ। এর মূল ধ্বনি অ-ধ্বনি যুক্ত হওয়ার পর এর চিহ্ন দাঁড়ায়

এটি প্রশস্ত দন্তমূলীয় তালব্য ধ্বনি (Dorso-Alveolar, Palatal), অঘোষ, মহাপ্রাণ ও স্পর্শ বর্ণ
                                                 শ্রবণ নমুনা

-এর লিপি পরিচিতি
অন্যান্য বাংলা লিপির মতই ব্রাহ্মীলিপি থেকে ছ-বর্ণটি উদ্ভূত হয়েছে ব্রাহ্মীলিপিতে লিখিত ছ-বর্ণটির যে নমুনা পাই, তাতে দেখা যায় যে, এর নিচের দিকে একটি গোলক রয়েছে এবং এই গোলকের মাঝখান থেকে একটি উলম্ব রেখা উঠে এসেছে খ্রিষ্টপূর্ব ৩য়-১ম শতাব্দীর ভিতরে ব্রাহ্মীলিপির বিভিন্ন পরিবর্তন হলেও,এই বর্ণটির মূল কাঠামো একই ছিল।  নিচের ছকে ব্রাহ্মীলিপিতে ছ-বর্ণটির ক্রমবিবর্তনের ধারা তুলে ধরা হলো

কুষাণলিপিতে (১০০-৩০০ খ্রিষ্টাব্দ) এই পরিবর্তন অব্যাহত থাকলেও, কোন কোন রচনায় ছ-এর চেহারা  ব্রাহ্মীলিপির মতই পাওয়া যায় গুপ্তলিপিতে (৪০০-৫০০ খ্রিষ্টাব্দ) এই বর্ণের আকারগত বৈচিত্র্য অধিকাংশ ক্ষেত্রে কুষাণলিপির সংস্করণ মনে হয় গুপ্তলিপিতে এই বর্ণে বেশ পরিবর্তন নিচের চিত্রে ব্রাহ্মীলিপি থেকে গুপ্তলিপি পর্যন্ত ছ-বর্ণের রূপান্তরের নমুনা দেখানো হলো

খ্রিষ্টীয় ৬ম-৯ম শতাব্দীতে ছ ছিল কুষাণলিপির মতো।  ক্রমবিবর্র্তনের ধারায় সপ্তদশ শতাব্দীতে এসে এই বর্ণটি ব-এর আকার ধারণ করেছিল আধুনিক ছ-বর্ণটি পুরোপুরিভাবে এসেছে সপ্তদশ শতাব্দীর পরে নিচে কুটিললিপি থেকে বর্তমানকাল পর্যন্ত ছ-এর ক্রমবিবর্তনের রূপটি দেখানো হলো