দিগ্
বানান বিশ্লেষণ: দ্+ই+গ্
উচ্চারণ:
d̪ig
(দিগ্)
শব্দ-উৎস:
সংস্কৃত দিগ>
বাংলা দিগ্
রূপতাত্ত্বিক বিশ্লেষণ:
√
দিশ্ (দান করা)
+ ক্বিন্ (০)=দিক, দিগ্
পদ:
বিশেষ্য
১.
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা
{ |
অবস্থানগত সম্পর্ক
|
সম্পর্ক
|
বিমূর্তন |
বিমূর্ত সত্তা |
সত্তা |
}
অর্থ: যা অবকাশ দান করে, এই অর্থে দিক্।
১.
১. কোন বস্তুর
অবস্থান থেকে অন্যবস্তু যে স্থানে থাকে, তার কৌণিক মান হলো দিক। এই বিচারে দিক
হতে পারে উত্তর, দক্ষিণ ইত্যাদি। ভূপৃষ্ঠে বর্তমানে এই মান নির্ধারিত হয়
কম্পাসের দিকনির্দেশক মানের বিচারে।
পৃথিবীর মেরুবিন্দু ছাড়া যেকোন স্থান থেকে কৌণিক মানকে দশটি নামে অভিহিত করা হয়।
এগুলো হলো- উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব, পশ্চিম, ঈশান, বায়ু, অগ্নি, নৈর্ঋত, ঊর্ধ্ব,
অধ।
সমার্থক শব্দাবলি:
দিক, দিগ্, দিশ
১.২. যেকোনো অবস্থান থেকে পারশ্বর্তী অবস্থানের নাম। যেমন- ডানদিক, বাম দিক,
সামনের দিক, পিছনের দিক। দুই দিকের অবস্থানকে বলা হয়, উভয় দিক, দুইয়ের অধিক
দিককে বলা হয়, বহুদিক।
১.৩. অবস্থানের বিচারে অঞ্চল বিশেষ।
দক্ষিণ দিকের মানুষ।
সমার্থক শব্দাবলি: অঞ্চল, দিক, প্রদেশ, স্থান
যৌগিক শব্দাবলি:
পূর্বপদ: দিগ্গজ, দিগ্জ্ঞান, দিগঞ্চল, দিগ্দর্শন, দিগ্দর্শন,
দিগ্দর্শনযন্ত্র,
দিগ্দর্র্শী, দিগ্দগন্ত, দিগ্দগন্তর, দিগ্ধ, দিগ্ধা, দিগধাউর, দিগধাবারে, দিগধেড়েঙ্গা, দিগ্বধূ, দিগ্বলয়, দিগ্বসন, দিগ্বস্ত্র, দিগ্বারণ, দিগ্বালা, দিগ্বালিকা
দিগ্বিজয়,
দিগ্বিজয়ী,
দিগ্বিদিক,
দিগ্বিলীন,
দিগ্ভ্রম,
দিগ্ভ্রান্ত,
দিগ্ভ্রান্তি,
দিগ্বলয়,
দিগ্বসন,
দিগ্বস্ত্র,
দিগ্বালা,
দিগ্বালিকা,
দিগ্বাসাঃ,
দিগ্বিজয়,
দিগ্বিজয়িনী,
দিগ্বিজয়ী,
দিগ্বিদিক,
দিগ্বিদিগ্জ্ঞান,
দিগভ্রম,
দিগভ্রান্ত,
দিগভ্রান্তি।
সূত্র:
- চলন্তিকা। রাজশেখর বসু। এমসি সরকার অ্যান্ড সন্স প্রাইভেট লিঃ। ১৪০৮। পৃষ্ঠা: ৪২৬
- বঙ্গীয় শব্দকোষ (দ্বিতীয় খণ্ড)। হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সাহিত্য
অকাদেমী। ২০০১। পৃষ্ঠা: ১৩২৯-১৩৩০
- বাংলা একাডেমী ব্যবহারিক বাংলা অভিধান। বাংলা একাডেমী, ঢাকা, মার্চ
২০০৫। পৃষ্ঠা: ৫৯৬
- বাঙ্গালা ভাষার অভিধান (দ্বিতীয় খণ্ড)। জ্ঞানেন্দ্রমোহন দাস। সাহিত্য সংসদ। নভেম্বর ২০০০। পৃষ্ঠা:
১৩৪০
- ব্যবহারিক শব্দকোষ। কাজী আব্দুল ওদুদ। প্রেসিডেন্সী লাইব্রেরী। কলিকাতা। পৃষ্ঠা: ৬০৪
- ভারতী বাঙলা অভিধান। বিশিষ্ট পণ্ডিত ও অধ্যাপকমণ্ডলী কর্তৃক সম্পাদিত। ভারতী বুক স্টল। ১৯৫৯। পৃষ্ঠা:
৫৫১
- শব্দবোধ অভিধান। আশুতোষ দেব। দেব সাহিত্য কুটির। মার্চ ২০০০। পৃষ্ঠা:
৫৬৪
- শব্দসঞ্চয়িতা। ডঃ অসিতকুমার বন্দোপাধ্যায়। নিউ সেন্ট্রাল বুক এজেন্সি প্রাঃ লিমিটেড। ২৩শে জানুয়ারি, ১৯৯৫। পৃষ্ঠা:
৫৪২
- শব্দার্থ প্রকাশিকা। কেশবচন্দ্র রায় কর্মকার। দেব সাহিত্য কুটির। মার্চ ২০০০। পৃষ্ঠা:
৩৬৪
- শব্দার্থমুক্তাবলী বেণীমাধব দে। ১৭৮৮ শকাব্দ। পৃষ্ঠা: ৮৪৯
- সংসদ বাংলা অভিধান। সাহিত্য সংসদ। শৈলেন্দ্র বিশ্বাস। মার্চ ২০০২। পৃষ্ঠা:
৫২১
- সংস্কৃত বাংলা অভিধান। শ্রীঅশোক কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়। সৃষ্টি,
হুগলী। ১৪০৮। পৃষ্ঠা: ২৬৮
- সচিত্র প্রকৃতিবাদ অভিধান (চতুর্থ সংস্করণ)। রামকমল বিদ্যালঙ্কার। ১২৯৫। পৃষ্ঠা:
১০৬১।
- সরল বাঙ্গালা অভিধান (সপ্তম সংস্করণ, নিউবেঙ্গল প্রেস ১৯৩৬)। সুবলচন্দ্র মিত্র। পৃষ্ঠা:
৮০২।
wordnet 2.1