আন্তর্জাতিক ধ্বনিলিপি : ŋ
ইউনিকোড: u+0999
বিশেষ্য
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা {| বর্ণ | বর্ণচিহ্ন | লিখিত প্রতীক | প্রতীক | সঙ্কেতচিহ্ন | যোগাযোগ | বিমূর্তন | বিমূর্ত সত্ত | সত্তা |}
সমার্থকশব্দসমূহ (synonyms):
ঙ, উঙো, উঁয়ো, উমো।

বর্ণ-পরিচিতি :
এই বর্ণের নাম - বাংলা বর্ণমালার ষোড়শ (১৬), ব্যঞ্জনবর্ণের পঞ্চম এবং ক-বর্গের পঞ্চম বর্ণ 

স্বাধীনভাবে উচ্চারণযোগ্য রূপ হলো- ঙ্ +অ=ঙ
এটি জিহ্বামূলীয়, ঘোষ, নাসিক্য ও স্পর্শ বর্ণ কণ্ঠমূল থেকে উচ্চারিত হয় বলে- এটি সাধারণভাবে কণ্ঠ বর্ণ নামেও চিহ্নিত হয়ে থাকে উচ্চারণের বিচারে ং-এর অনুরূপ। কিন্তু পরাশ্রয়ী বর্ণ হিসাবে ং-এর সাথে কার-চিহ্ন বসে না। পক্ষান্তরে ঙ-এর সাথে কার চিহ্ন বসে। যেমন- ঙ্ +আ=ঙা (রাঙা), ঙ্+ই=ঙি (রঙিন) ইত্যাদি।

 

শ্রবণ নমুনা


-এর লিপি পরিচিতি
অন্যান্য বাংলা লিপির মতই ব্রাহ্মীলিপি থেকে ঙ-বর্ণটি উদ্ভূত হয়েছে ব্রাহ্মীলিপিতে এএই বর্ণটি ছিল ইংরেজি তৃতীয় বন্ধনীর প্রথমটির মতোপর্যন্ত এই বর্ণটি বিচিত্রভাবে পরিবর্তিত হয়েছে নিচের চিত্রে ব্রাহ্মীলিপিতে ঙ-বর্ণটির বিবর্তনের রূপ দেখানো হলো

কুষাণলিপিতে (১০০-৩০০ খ্রিষ্টাব্দ) এই বর্ণটি ভিন্নরকম রূপ লাভ করলেও গুপ্তলিপিতে এই বর্ণটি অনেকটা ব্রাহ্মীলিপির মতোই ছিলনিচের চিত্রে ব্রাহ্মীলিপি থেকে গুপ্তলিপি পর্যন্ত ক-বর্ণের রূপান্তরের নমুনা দেখানো হলো

এরপর আমরা পাই খ্রিষ্টীয় ৬ম-৯ম শতাব্দীতে পাই কুটিললিপিআদি কুটিললিপিতে থেকে এই বর্ণটি নানা রকম পরিবর্তনের ভিতর দিয়ে আজকের অবস্থায় এসে পৌঁছেছে। নিচের চিত্রে কুটিললিপি থেকে বর্তমান কাল পর্যন্ত ক-এর ক্রমবিবর্তনের রূপটি দেখানো হলো  

 

আধুনিক বানান রীতি অনুসারে এই বর্ণটির সাথে যে রীতিতে স্বরবর্ণ যুক্ত হয়, তা হলো-

+আ =ঙা +ই=ঙি  +ঈ=ঙী  +উ=ঙু +ঊ=ঙু
+ঋ=ঙৃ   +এ =ঙে  +ঐ=ঙৈ  +ও =ঙো +ঔ=ঙৌ

ঙাপ্পি [ঙাপ্.পি] [Nap.pi]
বার্মিজ ঙাপ্পি (ngappi)>বাংলা ঙাপ্পি।
বিশেষ্য {জাতিবাচক, বস্তুবাচক, খাদ্য}
মায়ানমার এবং মায়ানমার সংলগ্ন বাংলাদেশী ক্ষুদ্রজাতিগোষ্ঠীদের তৈরিকৃত চাটনী জাতীয় খাবার। চিংড়ি মাছের সাথে বিভিন্ন মশলা মিশিয়ে এই চাটনি তৈরি করা হয়। এর স্বাদ টক এবং তীব্র কটুগন্ধযুক্ত। বার্মার ঙাপ্পিতে বাপরে গন্ধ/সুকুমার রায়।