যদিই এর উচ্চারণ সাদামাটাভাবে 'রি' হিসাবে দেখানো হয়। কিন্তু প্রকৃত পক্ষে ঋ-এর উচ্চারণ 'রি' আরও একটু বেশি অনুরণিত হয়। আন্তর্জাতিক ধ্বনিলিপিতে সাধারণভাবে এই ধ্বনি লিখা হয় [রি] [ri] হিসাবে

ইউনিকোড : u+098B
এর কার চিহ্ন =। এর ইউনিকোড=u+09C3

বিশেষ্য
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা {| বর্ণ | বর্ণচিহ্ন | লিখিত প্রতীক | প্রতীক | সঙ্কেতচিহ্ন | যোগাযোগ | বিমূর্তন | বিমূর্ত সত্ত | সত্তা |}

বর্ণপরিচিতি :

এই বর্ণের নাম ঋ (রি) বাংলা বর্ণমালার এবং স্বরবর্ণের সপ্তম বর্ণ ব্যঞ্জনবর্ণের সাথে যুক্ত হয়ে ' (-ঊকার) চিহ্ন হিসাবে বসে যেমন : ক্+ = কৃ


-এর লিপি পরিচিতি
অন্যান্য বাংলা লিপির মতই ব্রাহ্মীলিপি থেকে এই বর্ণটির উদ্ভব হয় নি কারণ, ব্রাহ্মীলিপিতে ঋ-বর্ণটি ছিল না কুটিললিপিতে (খ্রিষ্টীয় ৬ম-৯ম শতাব্দীর লিপি) এই বর্ণটি ছিল অনেকটা স-এর মতো পরবর্তী সময়ে অর্থাৎ খ্রিষ্টীয় একাদশ শতাব্দী থেকে সপ্তদশ শতাব্দী পর্যন্ত কুটিললিপির বিবিধ পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায় আমাদের আজকের ঋ-এর চেহারা পাওয়া গেছে মোটামুটি দশম শতাব্দী থেকে এরপর থেকে বিভিন্ন সময়ে এই বর্ণটির যে নমুনা পাওয়া যায় তা প্রায় একই রকম এক্ষেত্রে চিহ্নের যে পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়- তা বিভিন্ন লিপিকারদের লিখন পার্থক্যজনীত কারণে হতে পারে নিচে কুটিল লিপি থেকে আধুনিক কাল পর্যন্ত ঋ-বর্ণটির ক্রমবিবর্তন দেখানো হলো

 


 


দেখুন:
        ঋ ক্রিয়ামূল

          ঋ প্রত্যয়