শামানিক
Shamanic
মানুষের সবচেয়ে পুরনো ধরনের ধর্মীয় বিশ্বাস ও আচার-অনুষ্ঠান।
এই ধর্ম পালন করতো
নেভালি চোরি, গোবেকলি টেপে,
আলতামিরা গুহাচিত্র, অঙ্কনকারী অধিবাসীরা সাইবেরিয়া, আমাজন, আফ্রিকার বুশম্যান, অস্ট্রেলিয়ার আদিবাসীরা।
এই ধর্মের প্রধান ধর্মগুরুকে বলা হয়। উল্লেখ্য শামান শব্দটি গ্রহণ করা হয়েছে
তুঙ্গুস-মঞ্চু ভাষা পরিবারের এভেনকি ভাষা থেকে।
এভেনকি ভাষার সূত্রে রুশয় শামান। কিছু ভাষাতাত্ত্বিক মনে করেন তুঙ্গুস šaman শব্দটি প্রাচীন ইন্দো-ইউরোপীয় যোগাযোগের মাধ্যমে এসেছে স্কাইথিয়ান
বা তোখারিয়ান ভাষার মাধ্যমে। প্রাচীন ভারতীয় তপস্বী, যোগী, বৌদ্ধ-জৈন সন্ন্যাসী। উচ্চারণ কাছাকাছি (শ্র-ম-ণ), কিন্তু বেশিরভাগ ভাষাতাত্ত্বিক এটিকে কাকতালীয় মনে করেন।
গোত্রের একজন বিশেষ ব্যক্তি (পুরুষ বা নারী) যিনি ট্রান্সে (সম্মোহনী অবস্থায়) যান। তিনি আত্মার জগতে যাত্রা করেন, রোগ সারান, ভবিষ্যৎ বলেন, মৃতের আত্মার সঙ্গে কথা বলেন।
এদের বিশ্বাস, গাছ, পাথর, নদী, প্রাণী, আকাশ, পাহাড় ইত্যাদি সবকিছুতেই আত্মা আছে।
এই ধর্মে তিনিট জগতকে বিশ্বাস করা হয়। উপরের প্রথম জগৎ আকাশ। এই জগতে বাস করেন দেবতা। পাখিরা
এই জগতে বিচরণ করে।, দ্বিতীয় মধ্য জগৎ। এই জগৎ হলো পৃথিবী। এই জগতে মানুষ ও
অন্যান্য প্রাণী এবং উদ্ভিদ রয়েছে। তৃতীয় জগৎ পাতাল। এখানে বাস করে সাপ। মৃত্যুর
জগৎও এখানে। এখান থেকে পুনর্জন্ম হয়।
প্রতিটি গোত্রে রয়েছে একটা বিশেষ প্রাণী-রক্ষক। ভাল্লুক, গৃধ্র, সাপ, শিয়াল। নেভালি চোরিতে
শকুন ও সাপের প্রচুর পাওয়া গেছে। এরা ছিল এই অঞ্চলে টোটেম।
এই ধর্মে মৃত্যুকে শেষ মনে করা হয় না। তাঁর মনে করেন মৃত্যুর পর আত্মা অন্য শরীরে বা অন্য জগতে চলে যায়।
শকুনকে মাংস খাওয়ানো হতো যাতে আত্মা আকাশে উঠে যায়। ড্রামের শব্দ, নাচ, গান, মাশরুম বা উদ্ভিদের রস খেয়ে শামান “আত্মার জগতে যান”। গুহাচিত্রগুলো অনেক সময় এই ট্রান্স অবস্থায় আঁকা হতো। মৃত বাবা-মা, দাদা-দাদি, বীর যোদ্ধাদের আত্মাকে সম্মান। তাদের খুলি রাখা হতো বাড়িতে।
এই কারণে নেভালি চোরিতেও খুলি পাওয়া গেছে।