বোধিসত্ত্ব
বৌদ্ধ ধর্মমতে
নির্বাণলাভের জন্য সাধনারত ব্যক্তি।
‘বোধি’ অর্থ জ্ঞান এবং
‘সত্ত্ব’ অর্থ প্রাণী বা জীব। জীব বোধি বা জ্ঞানের অনুশীলনের মাধ্যমে
জীবের তাঁর দুঃখমোচন করতে পারেন। এই বিশেষ জ্ঞান লাভের জন্য মানুষ বারবার জন্মগ্রহণ
করে এবং প্রতিজন্মেই অপরের দুঃখনিবৃত্তির জন্য কাজ করে।
বৌদ্ধ ধর্মমতে
গৌতম বুদ্ধ নির্বাণলাভের
৫৫০ বার জন্মগ্রহণ করেছিলেন। এবং
প্রতিবার জগতের সকল জীবের মুক্তি কামনায় সাধনা করেছেন। এই কারণে তাঁকে পূর্বজন্মসমূহের
বিচারে বোধিসত্ত্ব বিশেষণে ভূষিত করা হয়। বৌদ্ধ ধরমের
মহাযান শাখায়
বোধিসত্ত্বকে সাধনার আদর্শ এবং সর্বোচ্চ স্থান দেওয়া হয়ে থাকে। তাই
মহাযানকে অনেক সময় বোধিসত্ত্বযানও
বলা হয়।
বোধিসত্ত শুধু নিজের নির্বাণ লাভের কথা ভাবেন
না। তিনি চান জগতের সকলের মুক্তির জন্য কাজ করবেন এবং সকলের নির্বাণলাভের পর, তিনি
পরিনির্বাপিত হবেন। বোধিসত্ত্বের এ কল্যাণচেতনাই বোধিচিত্ত। বোধিচিত্ত
অর্জিত হলেই জ্ঞান দ্বারা সিদ্ধ লাভ হয় হয় এবং নির্বাণমার্গে উপনীত হওয়া যায়।
জন্মের ক্রমানুসারে বোধিসত্ত্বের বিভিন্ন রূপ কল্পনা করা হয়। তাঁর প্রথম রূপ হচ্ছে অবলোকিতেশ্বর। এই রূপকে বলা হয় করুণার আধার। মঞ্জুশ্রী বোধিসত্ত হলো প্রজ্ঞার আধার। এছাড়া বজ্রপাণি, বজ্রগর্ভ, জ্ঞানগর্ভ, ক্ষিতিগর্ভ, রত্নগর্ভ, আকাশগর্ভ, সূর্যগর্ভ, মৈত্রেয় প্রভৃতি বোধিসত্ত্বের কল্পনা করা হয়।
সূত্র :