খ্রিষ্টপূর্ব ৮০০ অব্দের দিকে পরে এদের একটি শাখা ভারতের মণিপুর এবং মায়ানমার সীমান্তের নিকটবর্তী কাবাও উপত্যাকায় চলে আসে এবং সেখানে বসতি স্থাপন করে। এই সময় মায়ানমারের আদিবাসী হিসেবে বিবেচিত বার্মিজদের সাথে সম্প্রীতি গড়ে উঠে এবং উভয় জাতির ভাষা এবং সংস্কৃতি উভয়ের দ্বারা প্রভাবিত হয়। এরপর এদের একটি শাখা মায়ানমারের স্যাগায়িং প্রদেশের খ্যাম্পাট অঞ্চলে প্রবেশ করে। খ্রিষ্টীয় ১৪শ শতকের মধ্যভাগে এরা মায়ানমারের চীন প্রদেশের চীনা পাহাড়ের ভারত সীমান্ত বরাবর বসতি স্থাপন করে। খ্রিষ্টীয় ১৬শ শতকের দিকে বর্তমান ভারত প্রজাতন্ত্রের মায়ানমার সংলগ্ন অঞ্চলে তিনটি ধাপে প্রবেশ করে। ভারতবর্ষে প্রথম যে মিজোরা প্রথম প্রবেশ করেছিল, তারাকে কুকি বলা হয়। ভারতে প্রবেশকারী এই জাতি গোষ্ঠীর দ্বিতীয় দলকে নব্য কুকি নামে অভিহিত করা হয়। আর এই জাতি সত্তার সর্বশেষ যে দলটি ভারতে প্রবেশ করেছিল, তাদেরকে অভিহিত করা হয় লুসাই নামে। কুকি, নব্য কুকি এবং লুসাইদের সম্মিলিত নাম হলো মিজো।
বর্তমানে
এই ভাষা পরিবারের লোকের বাসবাস করে থাকে— চীন, ভারত, বাংলাদেশ, মায়ানমার,
নেপাল, থাইল্যান্ড, ভিয়েৎনাম. লাওস, মালোয়েশিয়ার বিভিন্ন অংশে।
এই
পরিবারের মোট ভাষার সংখ্যা ৪৬১টি। এই ভাষাকে দুটি
উপ-পরিবারে বিভাজিত করা হয়েছে। এই ভাগ দুটি হলো—
১. চীনা উপ-পরিবার (ভাষা সংখ্যা ১৪)
২.
তিব্বত-বর্মীয়
(ভাষা সংখ্যা ৪৪৭)
সূত্র :
http://stedt.berkeley.edu/about-st#Chinese
http://www.ethnologue.com/subgroups/central-37