অবস্থান
স্থানিক বিশাল পরিসরের ভিতরে কোনো একটি নির্দিষ্ট একটি স্থানের নির্দেশজ্ঞাপক নাম।
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা | { অবস্থান | দৈহিক-লক্ষ্যবস্তু | দৈহিক সত্তা | সত্তা | }
ইংরেজি:
location

ব্যাখ্যা: আমাদের চারপাশের যে বিশাল স্থান রয়েছে, তার ভিতরে কোনো নির্দিষ্ট স্থানই হলো অবস্থানগত দশা সৃষ্টি করে। ধরা যাক একটি ফুটবল মাঠের কেন্দ্রবিন্দু। এটি মাঠের বিচারে একটি স্থানবিন্দু। কিন্তু মাঠের চারপাশের সকল বিন্দু থেকে এর যে নির্দিষ্ট স্থান পাওয়া যাবে, সেটা তার অবস্থান। স্থানের দিক নির্দেশনার সূত্রে অবস্থান নিরূপিত হয়। এক্ষেত্রে যে স্থানের অবস্থান নির্ণয় করা হয়, তার দ্বিমাত্রিক অবয়বের পরিমাণ একটি বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। একটি টেবিলে একটি চায়ের কাপের অবস্থান অল্প জায়গা জুড়ে থাকে। একটি টেবিলের ছোটো পরিসরে চায়ের কাপের অবস্থানও ছোটো হবে। কিন্তু বড় পরিসরে অবস্থান ছোটো না হয়ে বড় হবে। ধরা যাক বাংলাদেশ নামক একটি দেশ। সাধারণভাবে এর স্থান নির্ধারিত হয়েছে দ্বিমাত্রিক দশায়। পৃথিবীর ভূমণ্ডলের বিচারে এর অবস্থান নির্ণয় হবে, আশপাশের অঞ্চলগুলোর দিকনির্দেশক পরিমাপ দ্বারা। বাংলাদেশের স্থানিক বৈশিষ্ট্য চায়ের কাপের চেয়ে বড় পরিসরে বিচার করা হবে। একটি সুনির্দিষ্ট স্থানের যেমন অবস্থান আছে, তেমনি ওই স্থানের ভিতরের প্রত্যেকটি সত্তারও অবস্থান আছে। এই বিচারে অবস্থানকে নানাভাগে ভাগ করা যায়। যেমন-