অষ্টবক্রাসন

যোগশাস্ত্রে বর্ণিত আসন বিশেষ।
এই আসনের নাম অষ্টবক্রাসন (অষ্টবক্র + আসন) কেন রাখা হয়েছে তা এই আসন দেখে অনুভব করা যায় না। এই আসন করার জন্য প্রচুর শারীরীক ক্ষমতা থাকা দরকার। যুবা বয়সে এই আসন করা যত সহজ, বৃদ্ধের জন্য ততটাই কঠিন।

পদ্ধতি
১. প্রথমে দুই পা প্রসারিত করে কোন সমতল স্থানে বসুন।
২. এবার ডান পায়ের অগ্রভাগের উপর বাম পায়ের অগ্রভাগ স্থাপন করুন। তারপর বাম পায়ের অগ্রভাগ দিয়ে ডান পায়ের অগ্রভাগ আঁকড়ে ধরুন।
৩. এবার ডান ও বাম পায়ের মধ্য দিয়ে ডান হাত প্রবেশ করান। এই হাতের তালু ও আঙুলগুলো মাটিতে ছড়িয়ে দিন। একইভাবে বাম হাতকে বাম উরুর বাইরে দিয়ে মাটিতে স্থাপন করুন। এই হাতের তালু ও আঙুলগুলোও মাটিতে ছড়িয়ে দিন।
৪. এবার দুই হাতের উপর ভর করে প্রথমে পায়ের অগ্রভাগ উত্তোলন করুন। এক্ষেত্রে পায়ের হাঁটু বগলের কাছাকাছি অবস্থানে চলে আসবে। এবার ধীরে ধীরে নিতক্বকে মাটি থেকে উপরে তুলুন।
৫. ঘাড় উঁচু করে স্বাভাবিকভাবে শ্বাস নিতে নিতে, ১০ সেকেণ্ড স্থির হয়ে থাকুন। এরপর পা ও নিতম্ব মাটিতে নামিয়ে, হাত ও পা বদলিয়ে পুনরায় আসনটি করুন। এরপর আসন ত্যাগ করে ২০ সেকেণ্ড শবাসনে বিশ্রাম নিন।

সতর্কতা
১. হৃদরোগীদের জন্য এই আসন নিষিদ্ধ।
২. যে সকল নারী গর্ভধারণ করেছেন, তাদের জন্য এই আসন বিপদজনক।

উপকারিতা
১. হাত, কাঁধ ও পায়ের পেশী সবল হয়।
২. পেট ও নিতক্বের মেদ কমে যায়।
৩. কোষ্ঠকাঠিন্য ও অজীর্ণ রোগের নিরাময় হয়।
৪. পেটের অন্ত্রসমূহ সতেজ হয়।
৫. যৌনাঙ্গ সবল ও সতেজ হয়।


সূত্র :
যোগাসনে রোগ আরোগ্য
। ডঃ রমেন মজুমদার
রোগারোগ্যে যোগব্যায়াম। কানাইলাল সাহা
যোগ সন্দর্শন। ডাঃ দিব্যসুন্দর দাস
যোগ ব্যায়াম। সবিতা মল্লিক