চিত্ত
সাধারণভাবে চিত্ত বলতে মনকে বুঝায়।
প্রতিটি ব্যক্তি সত্ত্বার ভিতরে 'আমি' নামক একটি সত্তা। এই
আমি প্রতিটি ব্যক্তিকে পরিচালিত করে। স্নায়ুতন্ত্রের বিভিন্ন উপকরণের কার্যকারিতার সমন্বয়ে যে
পরিচালক শক্তির সৃষ্টির উদ্ভব হয়, 'আমি' নামক সত্তা। এই 'আমি'র পরিচালক বা নিয়ন্ত্রক হলো মন।
মন আত্মা ইচ্ছাকে জাগ্রত রাখে এবং প্রকাশযোগ্য করে তোলে।
ইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে দেহের বাইরের জগতের সাথে যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে 'আমি' উপলব্ধি করে।
এর মধ্য দিয়ে চিত্তের নানা ধরনের ইচ্ছা জাগ্রত হয়ে ওঠে। পঞ্চেন্দ্রিয়ের মাধ্যমে
উপলব্ধির এই প্রক্রিয়া হলো চিত্তবৃত্তি। যদি কোনোভাবে চিত্তবৃত্তিকে নিরোধ করা যায়,
তাহলেই সাধক আরদ্ধ সাধনায় সিদ্ধ হতে পারে।
যোগশাস্ত্রে এই মন বা চিত্ত ভিন্নভাবে বিচার করা হয়। মনের তিনটি বিকারকে একত্রে চিত্ত বলা হয়।
এই বিকার তিনটি হলো- সত্ত্ব, রজঃ ও তমঃ। এই কারণে চিত্তকে বলা হয় ত্রিগুণময়ী।
চিত্ত নানাভাবে থাকতে পারে। চিত্তের নানা ভাবে থাকাটা তার অবস্থা। চিত্তের
স্বাভাবিক অবস্থাকে বলা
হয়
চিত্তভূমি ।
আর ইন্দ্রিয়ের সাথে যে কোনো বিষয়ের সংযোগের ফলে, তা চিত্তের বিষয়াকারে
পরিণত হয়।
চিত্তের এই পরিনামকে বলা হয় চিত্তবৃত্তি।
পতঞ্জলির যোগশাস্ত্রে
চিত্তের নিরোধই
হলো যোগ
বলা হয়। তাই যোগসাধনায় প্রথমেই
চিত্তভূমিকে
জানতে হয়।
সূত্র :
যোগাসনে রোগ আরোগ্য। ডঃ রমেন মজুমদার
রোগারোগ্যে যোগব্যায়াম। কানাইলাল সাহা
যোগ সন্দর্শন। ডাঃ দিব্যসুন্দর দাস
যোগ ব্যায়াম। সবিতা মল্লিক
http://horoppayoga.wordpress.com/2010/01/06/yoga-eight-limbs-of-patanjali/