খেচরী মুদ্রা
যোগশাস্ত্রে বর্ণিত এক প্রকার মুদ্রা
খেচর শব্দের অর্থ আকাশ। যোগীর মন দ্বারা আকাশচারী হওয়ার প্রক্রিয়াকে খেচরি নামে অভিহিত করা হয়।

এই মুদ্রায় জিহ্বাকে দুই ভ্রূরুর মাঝ বরাবর স্পর্শ করার চেষ্টা করা হয়। যোগী-গুরু একটি পরিষ্কার চাকু বা এই জাতীয় কোন অস্ত্র দ্বারা জিহ্বার নিচের অংশ পরিষ্কার করে দেবেন। এর ফলে জিহ্বা উপরের দিকে উত্তোলন করার সুবিধা হবে। কোন কোন ক্ষেত্রে জিহ্বার উর্ধমুখী জড়তা দূর করার জন্য, জিহ্বার নিচের অংশের সাথে চোয়ালের জোড়া লাগা অংশ কেটে থাকেন। কিন্তু ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া এই জাতীয় কাজ করা উচিত্ হবে না। এই জাতীয় অপারেশন করে, জিহ্বাকে এতটাই মুক্ত করে দেওয়া হয় যে, জিহ্বার অগ্রভাগ দ্বারা দ্বারা কপাল স্পর্শ করা যায়। জিহ্বার এই ভাবে উধ্বমুখী প্রসারণ করার প্রক্রিয়াকে খেচরী মুদ্রার প্রাথমিক অংশ হিসাবে বিবেচনা করা হয়।

জিহ্বার জড়তা দূর করার পর, সিদ্ধাসনে বসে এই মুদ্রার অনুশীলন করা হয়ে থাকে। জিহ্বা দুই ভ্রূর মাঝখানে রেখে, আঙুল ব্যবহার করে নাকের একটি ফুটো বন্ধ করে ধীরে ধীরে শ্বাস-প্রশ্বাসের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়।

এই মুদ্রার ব্যবহারে, মুচ্ছা যাওয়া, ক্ষুধা, পিপাসা, অলসতা দূর হয়। এছাড়া বৃদ্ধ  বয়স পর্যন্ত রোগ থেকে মুক্ত থাকা যায়।


সূত্র :
যোগাসনে রোগ আরোগ্য
। ডঃ রমেন মজুমদার
রোগারোগ্যে যোগব্যায়াম। কানাইলাল সাহা
যোগ সন্দর্শন। ডাঃ দিব্যসুন্দর দাস
যোগ ব্যায়াম। সবিতা মল্লিক
http://horoppayoga.wordpress.com/