বজ্রোলী
মুদ্রা
যোগশাস্ত্রে বর্ণিত এক প্রকার
মুদ্রা।
বজ্র শব্দের
একটি অর্থ কঠিন বা নিদারুণ। প্রকৃত অর্থেই এই মুদ্রা অত্যন্ত কঠিন এবং সম্ভবত
বিপদজনকও। আধুনিক যোগশাস্ত্রকাররা মনে করেন যে,
এই মুদ্রা অতি অল্প
লোকের পক্ষেই সম্ভব।
প্রক্রিয়া
বেশ সরু রুপা নির্মিত এক
ফুটের সামান্য কিছু বড় ধরনের নল সংগ্রহ করতে হবে। এরপর কয়েকটি পর্যায়ে এই মুদ্রার
অনুশীলন করে চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌছাতে হবে।
পর্যায় ১
মুত্রনালীতে এই রুপার
নল ১ ইঞ্চি পরিমিত প্রবেশ করাতে হবে। এই অবস্থায় বিশুদ্ধ পানির পাত্রের ভিতর উক্ত
নলের বহিরাংশ ডুবিয়ে,
নাড়ি সংকোচন করে,
পানিকে মুত্রনালীর ভিতরে
নিতে হবে।
পর্যায় : ২
এই পর্যায়ে অভ্যস্ত হয়ে
গেলে,
পানির পরিবর্তে,
তেল,
মধু এবং সবশেষে পারদ
গ্রহণ করতে হবে।
পর্যায় : ৩
এক ইঞ্চি পরিমিত নল
দ্বারা অভ্যাস করার পর,
উক্ত নলের দুই ইঞ্চি প্রবেশ
করাতে হবে। এইভাবে নল প্রবেশের পরিমাণ বৃদ্ধি করে ১২ ইঞ্চিতে উন্নীত করতে হবে। এবং
প্রত্যেক ক্ষেত্রেই পানি,
তেল,
মধু ও পারদ দ্বারা
অভ্যাস করতে হবে।
পর্যায় : ৪
এই পর্যায়ে এসে,
নল ফেলে দিয়ে পানি টেনে
নেবার চেষ্টা করতে হবে। এবং মুত্র ত্যাগের প্রক্রিয়ায় পানি ফেলে দিতে হবে। এরপর
ক্রমান্বয়ে তেল,
মধু ও পারদ ব্যবহার করতে হবে।
সতর্কতা
ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া
এই মুদ্রার অনুশীলন করবেন না। কারণ,
বিভিন্ন অপদ্রব্য
মুত্রনালীতে প্রবেশ করার কারণে,
ক্ষত সৃষ্টি হতে পারে।
উপকারিতা
যোগীদের মতে,
বীর্যপাত রোধ করার
ক্ষেত্রে এই মুদ্রা ফলদায়ক। বলা হয়ে থাকে,
দীর্ঘক্ষণ সঙ্গম করার
পরও বীর্যপাত হয় না। বীর্যধারণই এই আসনের প্রধান লক্ষ্য হওয়ায় মহিলাদের এই মুদ্রা
করা থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়।
নিষেধ :
১. ১২ বছরের কম বয়সী ছেলে-মেয়েদের জন্যও
মুদ্রাটি অভ্যাস করা বারণ।
২. ঋতুমতী না হওয়ার আগে মেয়েদের জন্য নিষিদ্ধ।
সূত্র :
যোগাসনে রোগ আরোগ্য। ডঃ রমেন মজুমদার
রোগারোগ্যে যোগব্যায়াম। কানাইলাল সাহা
যোগ সন্দর্শন। ডাঃ দিব্যসুন্দর দাস
যোগ ব্যায়াম। সবিতা মল্লিক
http://horoppayoga.wordpress.com/