এপ
পইংরেজি apa>আধুনিকape>বাংলা এপ। ডাচ aap, প্রাচীন জার্মান affo, ওয়েলশ epa, প্রাচীন চেক op

প্রাচীন ইংরেজিতে এপ শব্দটি দিয়ে বুঝানো হতো -লেজ বিহীন এবং মানুষ নয় এমন
প্রাইমেট। এই বিচারে শুধুমাত্র বেবুনকে এপ হিসাবে বিবেচনা করা হতো। পরবর্তী সময়ে লেজবিহীন  macaque-এর দুটি প্রজাতিকে এপ হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। আধুনিক মতে- প্রাইমেট বর্গের হোমিনোইডিয়া  উর্ধ্বগোত্রের অন্তর্গত একটি দলগত নাম হলো- এপ।

প্রায় ৩ কোটি ৩০ লক্ষ বৎসর আগে এপদের আদি পূর্বপুরুষের আবির্ভাব ঘটেছিল। জীবাশ্মের বিচারে এই আদি-এপের নামকরণ করা হয়েছে। এপদের ঈজিপ্টোপিথেকাস গণের  
zeuxis নামক প্রজাতির  উদ্ভব হয়েছিল প্রায় ৩ কোটি ৮০ লক্ষ বৎসর থেকে ৩ কোটি ৪০ লক্ষ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে ভিতরে। এরপর ২ কোটি ৩০ লক্ষ ৩০ হাজার থেকে ৫৩ লক্ষ ৩৩ হাজার খ্রিষ্টপূর্বাব্দের ভিতরে এই প্রজাতিটি বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল।

আদিম এপদের রূপান্তরের এই পুরো ঘটনাই ঘটেছিল আফ্রিকাতে। এদের বিবর্তিত প্রজাতিগুলো এশিয়া এবং ইউরোপের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছিল। এদের একটি অংশ ১ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দের দিকে প্রাকৃতিক কারণে বিলুপ্ত হয়ে যায় এবং কিছু অংশ বিবর্তিত হয়ে নূতন প্রজাতির এপ হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছিল। এই পরিবর্তিত এপদের উত্তরপুরুষ হলো- মানুষ
, গরিলা শিম্পাঞ্জি ইত্যাদি।

মাইসন অধিযুগের সবচেয়ে সুপরিচিত এপ ছিল প্রোকোনসুল (
Proconsul (mammal))
            যুক্ত করতে হবে

এরা আফ্রিকার কেনিয়া অঞ্চলে প্রায় ১ কোটি ৭০ লক্ষ বৎসর আগে বাস করতো। এই এপদের প্রধান খাবার ছিল ফল। এদের দাঁতের গড়ন ছিল আধুনিক কালের বানরের মতো। মাথার খুলির গড়ন অনেকটা বেবুনের মতো। পাশের চিত্রে এর জীবাশ্ম দেখানো হল
ো।

বর্তমানে যেভাবে Hominoidea অধিগোত্রের দুটি গোত্রের নাম হলো- Hylobatidae Hominidae । এর ভিতরে Hylobatidae গোত্রের ভিতরে রয়েছে ৪টি গণ এবং গিবোনের ১২টি প্রজাতি, লার গিবোন এবং সিয়ামাঙ (Siamang) । এদের একত্রে বলা হয় ক্ষুদ্র এপ (lesser apes) । পক্ষান্তরে Hominidae গোত্রের ভিতরে রয়েছে গরিলা, শিম্পাঞ্জি, ওরাংওটাং এবং মানুষ। এদেরকে বলা হয় বৃহৎ এপ (great apes)। প্রাইমেট বর্গে আরও কিছু প্রজাতিকে কেউ কেউ এপ হিসাবে উল্লেখ করলেও, প্রকৃতপক্ষে এগুলো এপ নয়। মানুষ এবং গরিলা ব্যতীত অন্যান্য সকল এপই প্রধানত বৃক্ষচারী। এরা মূলত সর্বভুক। এদের প্রধান খাদ্য গাছের ফল জাতীয় খাবার, ঘাস বা এই জাতীয় উদ্ভিদের বীজ। কিন্তু প্রয়োজন সাপেক্ষে এরা মাংস খেয়ে থাকে। মাংসের জন্য এরা ছোট ছোট প্রাণী শিকার করে থাকে। ওরাংওটাং ছাড়া এদের আদি বাসস্থান আফ্রিকা। তবে একমাত্র মানুষই তাদের আদি বাসস্থান থেকে দূরদূরান্তে ছড়িয়ে পড়েছে।
        দেখুন :
হোমিনোইডি [জীববিজ্ঞান]