কেরোসিন
গ্রিক κηρός (মোম)> ইংরেজি Kerosene, kerosine>বাংলা কেরোসিন।
বিশেষ্য
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা  {
হাইড্রোকার্বন| রাসায়নিক যৌগ | বস্তু | দৈহিক সত্তা | সত্তা |}

পেট্রোলিয়াম পরিশোধনের সময় উপজাত হিসেবে প্রাপ্ত তেল বিশেষ। ১৮৫৪ খ্রিষ্টাব্দে কানাডীয় ভূতত্ত্ববিদ আব্রাহাম গেসনার পাতন প্রক্রিয়ায় পেট্রোলিয়াম পরিশোধন কালে কেরোসিন উদ্ভাবন করেন। কেরাসিন আবিস্কারের পূর্বে মোম বা উদ্ভিজ তেলের সাহায্যে আলো জ্বালানো হত। মোমের মত আলোকদানকারী উপাদান হিসাবে তখন এর নাম কেরাসিন রাখা হয়।

পেট্রোলিয়ামের আংশিক পাতনের সময় ১৫০ ডিগ্রি থেকে ২৭৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ভিতরে কেরোসিন পাওয়া যায়।  এর মূল উপাদান C13C16) কার্বন বিশিষ্ট হাইড্রোকার্বন। এছাড়া থাকে এ্যালকাইল বেনজিন, ন্যাপথেলিন এবং এ্যালকালইন হাইড্রোকার্বন। এর আপেক্ষিক গুরুত্ব ০.৭৮-০.৮১। অশোধিত তেলের প্রায় ১৩ ভাগ কেরোসিন থাকে।

জ্বালানী হিসাবে ইঞ্জিনে গ্যাস টারবাইনে, জেট ইঞ্জিনে এবং রান্নার কাজে চুলাতে ব্যবহার করা হয়। এছাড়া এক্সরে-তে ব্যবহৃত ক্রিস্টাল কেরোসিনের ভিতর চুবিয়ে  সংরক্ষণ করা হয়। পানির উপরে ভাসমান মশার লার্ভা ধ্বংসে, ছাড়পোকা নিধনে এর ব্যবহার রয়েছে।


সূত্র :