sin (n + ১) x - sin nx = sin nx - sin (n - ১) x - (১/২২৫)sin nx
আর্যভট্ট তার সাইন টেবিলে সরাসরি sinθ এর বদলে Rsinθ ব্যবহার করেছেন। এখানে R দ্বারা একটি নির্দিষ্ট বৃত্তের ব্যাসার্ধ বোঝানো হচ্ছে। আর্যভট্ট এই ব্যাসার্ধের মান ব্যবহার করেছিলেন ৩৪৩৮, এর সম্ভাব্য কারণ হতে পারে যে আর্যভট্ট এক মিনিট পরিমাণ কোণের জন্য একক ব্যাসার্ধের বৃত্তে বৃত্তচাপের দৈর্ঘ্যকে এক একক হিসেবে ধরে নিয়েছিলেন। একটি বৃত্তের সম্পূর্ণ পরিধি তার কেন্দ্রে (৩৬০ × ৬০) = ২১৬০০ মিনিট কোণ ধারণ করে। সে হিসেবে বৃত্তের পরিধি হল ২১৬০০ একক এবং ঐ বৃত্তের ব্যাসার্ধ হবে ২১৬০০/২π, আর্যভট্টের হিসেবে পাওয়া π = ৩.১৪১৬ ব্যবহার করলে ব্যাসার্ধের মান প্রায় ৩৪৩৮ হয়।
ক্রমিক নং | কোণের মান (A) ডিগ্রি,মিনিট |
আর্যভট্টের নিজস্ব সংখ্যাপদ্ধতিতে উল্লিখিত মান | প্রচলিত দশমিক পদ্ধতি অনুসারে R(sin nx - sin (n-১)x) এর আর্যভট্ট প্রদত্ত মান | আর্যভট্ট প্রদত্ত (R × sinA) এর মান |
(R × sinA) এর প্রকৃত মান |
---|---|---|---|---|---|
১ | |||||
২ | |||||
৩ | |||||
৪ | |||||
৫ | |||||
৬ | |||||
৭ | |||||
৮ | |||||
৯ | |||||
১০ | |||||
১১ | |||||
১২ | |||||
১৩ | |||||
১৪ | |||||
১৫ | |||||
১৬ | |||||
১৭ | |||||
১৮ | |||||
১৯ | |||||
২০ | |||||
২১ | |||||
২২ | |||||
২৩ | |||||
২৪ |
আর্যভট্টের পাইয়ের মান
আর্যভট্টীয় বইটির দ্বিতীয় অধ্যায়ে আর্যভট্ট লিখেছেন- 'চার এর সাথে একশ যোগ করে তাকে আট দিয়ে গুণ করে তার সাথে বাষট্টি হাজার যোগ করা হলে বিশ হাজার একক ব্যাসের বৃত্তের পরিধি পাওয়া যায়'। সে হিসেবে আর্যভট্ট পাই এর মান নির্ণয় করেছিলেন ((4+100)×8+62000)/20000 = 62832/20000 = 3.1416, যেটা তার সময় পর্যন্ত যেকোন গণিতবিদের বের করা মানগুলোর মাঝে সবচেয়ে সঠিক।
আর্যভট্টের জ্যোতির্বিদ্যা
আর্যভট্টীয় গ্রন্থের গোলপাদ অধ্যায়ে উল্লেখ করেছিলেন, পৃথিবী নিজ অক্ষের
সাপেক্ষে ঘোরে। তিনি পৃথিবীর আক্ষিক গতির হিসাবও করেছিলেন। তার হিসেবে পৃথিবীর পরিধি
ছিল ৩৯,৯৬৮ কিলোমিটার, যেটা সে সময় পর্যন্ত বের করা যেকোন পরিমাপের চেয়ে শুদ্ধতর
(ভুল মাত্র ০.২%)। সৌর জগতে গ্রহগুলোর কক্ষপথের আকৃতি তার ভাষ্যে ছিল উপবৃত্তাকৃতির।
এক বছর সময়কালের প্রায় সঠিক একটি পরিমাপ করেছিলেন তিনি। আর্যভট্ট সূর্যগ্রহণ এবং
চন্দ্রগ্রহণের হিন্দু পৌরাণিক ধারণার পরিবর্তে প্রকৃত কারণগুলো ব্যাখ্যা করে গেছেন।
সেই সাথে তিনি সূর্য গ্রহণ এবং চন্দ্রগ্রহণের সময়কাল নির্ণয়ের পদ্ধতিও বের
করেছিলেন। আর্যভট্ট বলেছিলেন যে চাঁদের আলো আসলে সূর্যের আলোর প্রতিফলনেরই ফলাফল।
তিনি সৌরজগতের পৃথিবীকেন্দ্রিক নাকি সূর্যকেন্দ্রিক মডেল ব্যবহার করেছিলেন সেটি নিয়ে
বিতর্ক রয়েছে।