কলকাতার বাইরে তিনি হায়দ্রাবাদ শহরে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ডিজি লোটাস ফিল্ম কোম্পানি। পরে হায়দ্রাবাদের নিজামের সহযোগিতায় তৈরি করেছিলেন একটি ফিল্ম স্টুডিও ও দুটি সিনেমা হল। ১৯২৪ খ্রিষ্টাব্দে বোম্বেতে তৈরি 'রাজিয়া বেগম' ছায়াছবির প্রযোজক ছিলেন তিনি। এই ছবিতে মুসলিম রাজকুমারীর সাথে হিন্দু যুবকের প্রণয় কাহিনি ছিল। এই কারণে নিজাম তাঁকে হায়দ্রাবাদ থেকে বহিষ্কার করেন।
কলকাতায় ফিরে এসে ১৯২৯ খ্রিষ্টাব্দে তিনি 'ডিজি ব্রিটিশ ডোমিনিয়ন ফিল্মস' নামক
একটি নতুন চলচ্চিত্র নির্মাণের কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন। এই সময় তাঁর সহযোগী ছিলেন
প্রমথেশ বড়ুয়া।
এরপর প্রমথেশ বড়ুয়া চলচ্চিত্র নির্মাণে আধুনিক প্রযুক্তি প্রত্যক্ষ করার
জন্য লন্ডনে যান এবং সেখান থেকে চলচিত্র নির্মাণের জন্য প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। এরপর প্যারিসে
কিছুদিন লাইট বয় হিসেবে কাজ করেন। প্যারিস থেকে চলচ্চিত্র নির্মাণের সামগ্রী ক্রয় করে তিনি ভারতে
ফিরে আসেন এবং ১৯৩১ খ্রিষ্টাব্দে বড়ুয়া পিক্চার্স নামক ষ্টুডিও স্থাপন করেছিলেন। ১৯৩১ খ্রিষ্টাব্দের দিকে
চলচ্চিত্রের শব্দ সংযোজনের কৌশল যুক্ত হওয়া শুরু হলে, 'ডিজি ব্রিটিশ ডোমিনিয়ন
ফিল্মস' কোম্পানির বিলুপ্ত হয়। এবং ধীরেন্দ্রনাথ 'বড়ুয়া পিক্চার্স কোম্পানি'তে
যোগদান করেন।
১৯৩১ খ্রিষ্টাব্দের ১০ই ফেব্রুয়ারি বীরেন্দ্রনাথ সরকার 'নিউ থিয়েটার্স' নামে একটি
চলচ্চিত্র নির্মাণের উপযোগী স্টুডিও প্রতিষ্ঠা করেন। পরে এই প্রতিষ্ঠানে
ধীরেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায় এবং দেবকী বসু যোগদান করেন।
১৯৭৪ খ্রিষ্টাব্দে ভারত সরকার প্রদত্ত পদ্মভূষণে সম্মানিত হন।
১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দে ভারতে চলচ্চিত্র বিষয়ে দেওয়া সর্বোচ্চ সম্মান দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার
লাভ করেন।
১৯৭৮ খ্রিষ্টাব্দে তিনি কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন।