গোলাম আযম
বাংলাদেশ-এর স্বাধীনতা বিরোধিতাকারী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং
জামায়েত ই-ইসলামী নামক দলের প্রাক্তন আমীর।

১৯২২ খ্রিষ্টাব্দের ৭ নভেম্বর বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা শহরের লক্ষ্মীবাজারস্থ শাহ সাহেব বাড়িতে, তাঁর মামার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম মাওলানা গোলাম কবির। মাতার নাম সাইয়েদা আশরাফুন্নিসা। তাঁর পৈত্রিক বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বীরগাঁও। ১৯৩৭ খ্রিষ্টাব্দে এই গ্রামের  জুনিয়র মাদ্রাসা পরীক্ষায় কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হন। এরপর ঢাকা বোর্ড থেকে এস.এস.সি. পরীক্ষায় মেধা তালিকায় তিনি ত্রয়োদশ স্থান লাভ করেন। ১৯৪৪ খ্রিষ্টাব্দে তিনি ইসলামিক ইন্টারভিউ কলেজ থেকে আই.এ পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে ঢাকা এবং বোর্ডে দশম স্থান অধিকার করেন। এরপর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ পাশ করেন।

 

১৯৭১ সালে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত তথ্য

   
  ২৫শে মার্চ রাতে সংঘটিত অপারেশন সার্চলাইট এর ছয় দিন পর গোলাম আযম ঢাকা বেতার কেন্দ্র থেকে একটি ভাষণ দেন। এ ভাষণে তিনি ভারতের কড়া সমালোচনা করেন। তিনি বলেন,
  " ভারত সশস্ত্র অনুপ্রবেশকারী প্রেরণ করে কার্যত পূর্ব পাকিস্তানীদের দেশপ্রেমকে চ্যালেঞ্জ করেছে।...আমি বিশ্বাস করি যে, এই অনুপ্রবেশকারীরা পূর্ব পাকিস্তানী মুসলমানদের নিকট হতে কোন প্রকার সাহায্য পাবে না। সূত্র: দৈনিক সংগ্রাম, ৭ এপ্রিল ১৯৭১।
   
  দৈনিক পাকিস্তান পত্রিকায় ১১ এপ্রিল, ১৯৭১ (২৮ চৈত্র, ১৩৭৭ বাংলা সন) তারিখে প্রকাশিত "ঢাকায় নাগরিক শান্তি কমিটি গঠিত" শিরোনামের খবরে বলা হয়

"গত ৯ই এপ্রিল ঢাকায় প্রতিনিধিত্বশীল নাগরিকদের এক সভায় এক শান্তি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি খাজা খয়েরউদ্দিনকে আহ্বায়ক মনোনীত করেছে। কমিটিতে মোট ১৪০ জন সদস্য রয়েছেন। এই কমিটির বৃহত্তর ঢাকার ইউনিয়ন ও মহল্লা পর্যায়ে অনুরূপ কমিটি গঠনের ক্ষমতা রয়েছে। কেন্দ্রীয় কমিটির পরিচালনায় এগুলো কাজ করবে। নাগরিকদের দৈনন্দিন জীবনে দ্রুত স্বাভাবিক অবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠার পরিবেশ সৃষ্টির জন্য কমিটি সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। কমিটির অন্যান্য বিশিষ্ট সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন এ. কিউ. এম. শফিকুল ইসলাম, অধ্যাপক গোলাম আজম, মওলানা সৈয়দ মোহাম্মদ মাসুম, আবদুল জব্বার খদ্দর, মাহমুদ আলী, এম. এ. কে. রফিকুল হোসেন, ইউসুফ আলী চৌধুরী, আবুল কাসেম, এম. ফরিদ আহমদ, অধ্যাপক গোলাম সারওয়ার, সৈয়দ আজিজুল হক, এ. এস. এম. সোলায়মান, পীর মোহসেনউদ্দীন, এডভোকেট শফিকুর রহমান, মেজর (অবঃ) আফসার উদ্দিন, সৈয়দ মোহসিন আলী, এডভোকেট ফজলুল হক চৌধুরী, আলহাজ্ব সিরাজউদ্দিন, এডভোকেট এ. টি. সাদী, এডভোকেট আতাউল হক খান, মকবুলুর রহমান, আলহাজ্ব মোহাম্মদ আকিল, অধ্যক্ষ রুহুল কুদ্দুস, ইয়ং পাকিস্তান সম্পাদক নুরুজ্জামান, মওলানা মিয়া মফিজুল হক, এডভোকেট আবু সালেক, এডভোকেট আবদুল নায়েম ও অন্যান্য। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে হিন্দুস্তানের ঘৃণ্য ক্রিয়াকলাপের নিন্দা করে নিম্নলিখিত প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে। এই সভা পাকিস্তানের আভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হিন্দুস্তানের নির্লজ্জ হস্তক্ষেপের তীব্র নিন্দা করছে। এই বিপজ্জনক খেলায়
যা মহাযুদ্ধের পথে এগুতে পারেলিপ্ত না হওয়ার জন্য এই সভা ভারতীয় নেতাদের দ্ব্যর্থহীন ভাষায় হুঁশিয়ার করে দিচ্ছে। এই সভা মনে করে যে, পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চলে সশস্ত্র অনুপ্রবেশকারী পাঠিয়ে হিন্দুস্তান বস্তুতঃপক্ষে পূর্ব পাকিস্তানীদের দেশপ্রেমে চ্যালেঞ্জ করছে। এই সভা আমাদের প্রিয় দেশের সংহতি ও মর্যাদা রক্ষার উদ্দেশ্যে এই চ্যালেঞ্জ সাহসিকতার সঙ্গে মোকাবিলার জন্য দেশপ্রেমিক জনগণের প্রতি আকুল আহ্বান জানাচ্ছে।"
   
  দৈনিক সংগ্রাম পত্রিকায় ১৩ এপ্রিল, ১৯৭১ তারিখে প্রকাশিতখবরে বলা হয় ১২ এপ্রিল ১৯৭১ তারিখে পরিচালিত শান্তি কমিটির মিছিল শেষে গোলাম আযমের নেতৃত্বে পরিচালিত মোনাজাত সম্পর্কে বলা হয়,
   
  পাকিস্তানের সেনাবাহিনীকে সত্যিকারের মুসলিম সৈনিক হিসেবে দেশরক্ষার যোগ্যতা অর্জনের জন্য আল্লাহর দরগাহে দোয়া করেন। সত্যিকারের মুসলমান ও পাকিস্তানী হিসেবে বেঁচে থাকার ও পাকিস্তানে চিরদিন ইসলামের আবাসভূমি হিসেবে টিকিয়ে রাখার জন্য সর্বশক্তিমানের নিকট দোয়া করেন।"
   
  ১৯৭১ সালের ৫ ও ৬ সেপ্টেম্বর দৈনিক সংগ্রাম এ গোলাম আযমের পশ্চিম পাকিস্তান সফরকালের একটি সাক্ষাৎকারের পূর্ণ বিবরণ দুই কিস্তিতে ছাপা হয়। এই সাক্ষাৎকারে তিনি মুক্তিবাহিনীর সাথে তার দলের সদস্যদের সংঘর্ষের বিভিন্ন বিবরণ ও পূর্ব পাকিস্তান পরিস্থতির ওপর মন্তব্য করেন। তিনি বলেন,
  "বিচ্ছিন্নতাবাদীরা জামায়াতকে মনে করতো পহেলা নম্বরের দুশমন। তারা তালিকা তৈরি করেছে এবং জামায়াতের লোকদের বেছে বেছে হত্যা করছে, তাদের বাড়িঘর লুট করছে জ্বালিয়ে দিয়েছে এবং দিচ্ছে। এতদসত্বেও জামায়াত কর্মীরা রাজাকারে ভর্তি হয়ে দেশের প্রতিরক্ষায় বাধ্য। কেননা তারা জানে 'বাংলাদেশে' ইসলাম ও মুসলমানদের জন্য কোন স্থান হতে পারে না। জামায়াত কর্মীরা শহীদ হতে পারে কিন্তু পরিবর্তিত হতে পারে না। (দৈনিক সংগ্রাম, ৬ সেপ্টেম্বর ১৯৭১)

১৯৪৫ খ্রিষ্টাব্দ থেকে তিনি ছাত্র আন্দোলনের সাথে জড়িত হয়ে পড়েন। ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৪৮ খ্রিষ্টাব্দের ভাষা আন্দোলনের সাথে জড়িত হয়ে পড়েন, ফলে এমএ পরীক্ষা দিতে পারেন নি। ১৯৪৯ খ্রিষ্টাব্দে দাঙ্গাজনিত উত্তেজনাকর পরিস্থিতির কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় নি। ফলে তিনি ১৯৫০ খ্রিষ্টাব্দে এম.এ. পরীক্ষা দেন এবং দ্বিতীয় বিভাগ পেয়ে উত্তীর্ণ হন। এই সময় তিনি রংপুর সরকারি কারমাইকেল কলেজে কিছুদিন অধ্যাপনা করেন। ভাষা আন্দোলনের জড়িত হওয়ার কারণে, তিনি ১৯৫২ খ্রিষ্টাব্দে গ্রেফতার হন এবং তিনি তাঁর শিক্ষকতার চাকরি হারান। উল্লেখ্য পশ্চিম পাকিস্তানের শুক্কুরে ১৮ই জুন (১৯৭০) এক সংবর্ধনা সভায় জামায়াত নেতা গোলাম আযম বলেন, উর্দু পাক ভারত উপমহাদেশের মুসলমানদের সাধারন ভাষা। তিনি বলেন, ৫২ সালে ভাষা আন্দোলনের সময় তিনিও তাতে অংশ নিয়েছিলেন। কিন্তু তা ভুল হয়েছিল।

১৯৫২ থেকে ১৯৫৪ খ্রিষ্টাব্দের ভিতরে কোনো এক সময় তিনি রংপুরে তবলিগ জামাতের সাথে যুক্ত হন এবং এই দলের আমীরের সাথে পরিচিত হন। ১৯৫৪ খ্রিষ্টাব্দের এপ্রিলে পূর্ব-পাকিস্তান ইসলামী সাংস্কৃতিক সংগঠন তমাদ্দুন মজলিশের রংপুর শাখার প্রধান পদ লাভ করেন। ১৯৫৫ খ্রিষ্টাব্দে রাজনৈতিক কারণে গ্রেফতার হন। রংপুর কারাগারে অবস্থানকালেই
জামায়েত ই-ইসলামী'র আদর্শে অনুপ্রাণিত হন এবং এবং রুকন হন। ১৯৫৫ খ্রিষ্টাব্দে জুন মাসে তিনি রাজশাহী বিভাগীয় জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি নিযুক্ত হন। এর এক বছর পর তাঁকে পূর্ব পাকিস্তান জামায়েত ই-ইসলামী সহকারী সেক্রেটারি এবং রাজশাহী বিভাগীয় আমীরের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ১৯৫৭ খ্রিষ্টাব্দের অক্টোবর মাসে গোলাম আযমকে তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানের জামায়াতের জেনারেল সেক্রেটারি নিযুক্ত করা হয়। ১৯৬৪ খ্রিষ্টাব্দে পাকিস্তানে জেনারেল আয়ুব খান জামায়েত-ই-ইসলামী নিষিদ্ধ করে। এই সময় সামরিক সরকার তাঁকে গ্রেফতার করে। এই সময় বিনা বিচারে তাঁকে আট মাস কারাগারে আটক রাখা হয়।

১৯৬৯ খ্রিষ্টাব্দে তিনি পূর্ব-পাকিস্তান আমীরের পদ লাভ করেন। ১৯৭০ খ্রিষ্টাব্দের সাধারণ নির্বাচনে গোলাম আযম আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে নির্বাচনের জন্য প্রস্ততি গ্রহণ। এই সময় জামাতের কর্মীরা বেশ কয়েকস্থলে বিরোধীপক্ষের সভা ভাঙচুর করে এবং অনেক রাজনৈতিক কর্মীকে দৈহিকভাবে আক্রমণ করে। বিরোধী দলের অফিসের লুটপাট ও ধ্বংসের জন্য তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।

১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে পর্যন্ত তিনি পূর্ব-পাকিস্তানের আমিরের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে গোলাম আযম বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের তীব্র বিরোধিতা করেন।

১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের গোলাম আষমের কার্যক্রম
গোলাম আযম মুক্তিযুদ্ধের শুধুমাত্র রাজনৈতিক বিরোধিতাই করেননি বরং তিনি এবং তাঁর দল
জামায়েত ই-ইসলামী  পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে সাহায্য করতে রাজাকার, আলবদর, আলশামস্ প্রভৃতি বাহিনী গড়ে তোলেন। এরা পুরো মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানী বাহিনীর পক্ষে কাজ করে। ৩০শে জুন লাহোরে সাংবাদিকদের কাছে গোলাম আযম বলেন, "তাঁর দল পূর্ব পাকিস্তানে দুস্কৃতকারীদের(মুক্তিযোদ্ধা) তৎপরতা দমন করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছে এবং এ কারণেই দুস্কৃতকারীদের হাতে বহু জামায়াত কর্মী নিহত হয়েছে। ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল পাকিস্তানের অখণ্ডতা রক্ষার উদ্দেশ্য ঢাকায় শান্তি কমিটি গঠন করা হয়। গোলাম আযম ও এই কমিটির সদস্য ছিলেন। উল্লেখ্য এই কমিটিতে গোলাম আযমসহ ১৪০ জন এই কমিটির সদস্য ছিলেন।

১৯৭১ সালে  জামায়াতের মুখপত্র দৈনিক সংগ্রাম পত্রিকা সেখান থেকে সংকলিত কিছু বিবৃতি।

১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের ১২ অক্টোবরে পাকিস্তানের সামরিক সরকার প্রধান ইয়াহিয়া খান এক ঘোষণায় জানান যে, নভেম্বরের ২৫ থেকে ডিসেম্বরের ৯ তারিখের ভিতরে একটি সাধারণ নির্বাচন হবে। এই নির্বাচনে গোলাম আযম অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। কিন্তু ১৫ অক্টোবরে পাকিস্তান সরকার ১৫জন প্রতিযোগী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় লাভ করেছে। এই প্রহসনমূলক নির্বাচনে জামায়েত-ই-ইসলামের ১৪ জন সদস্য বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় লাভ করেন।

১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের ৩ ডিসেম্বরে, গোলাম আযম ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। কিন্তু ইতিমধ্যে ভারত-বাংলাদেশের যৌথবাহিনীর সাথে পাকিস্তানী বাহিনীর যুদ্ধ শুরু হলে, বিমান ঘুরিয়ে তিন সৌদি আরবে চলে যান। ১৬ই ডিসেম্বরে পাকিস্তানী বাহিনী ঢাকাতে আত্মসমর্পণের পর, নতুন রাষ্ট্র হিসাবে বাংলাদেশের জন্ম হয়। এই সময়  জামায়েত ই-ইসলামী বাংলাদেশে নিষিদ্ধ ঘোষিত হয়।

১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরও তার তিনি বাংলাদেশ বিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকেন। তিনি মধ্য-প্রাচ্য ও পাকিস্তানের অনেক নেতাকে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি না দেওয়ার জন্য অনুরোধ করে। অধ্যাপক আনিসুজ্জামান গোলাম আযমের বিরোদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ ১৯৯২ সালে গঠিত গণআদালতে উপস্থাপন করেন। আনিসুজ্জামানের উপত্থাপিত অভিযোগের কিছু বিশেষ অংশ নিচে তুলে ধরা হলো

১৯৭৩ খ্রিষ্টাব্দের ১৮ই এপ্রিল সরকারী এক আদেশে ৩৮ জন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের সাথে গোলাম আযমকেও বাংলাদেশের নাগরিক হবার অনুপযোগী ঘোষণা করা হয়। এই সময় তিনি বিভিন্ন দেশে বাস করেন। ১৯৭৮ খ্রিষ্টাব্দে তিনি  জিয়াউর রহমানের আনুকূল্যে পাকিস্তানি পাসপোর্ট নিয়ে সাময়িকভাবে বাংলাদেশে আসেন এবং কোন ভিসা ছাড়াই ১৯৭৮-১৯৯৪ পর্যন্ত বাস করেন। এই সময় তিনি ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে স্বাধীনতা বিরোধী কাজে লিপ্ত ব্যক্তিবর্গের আমির হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৯১ খ্রিষ্টাব্দে উচ্চ আদালতে জামায়েত-ই-ইসলামীর প্রাক্তন আমীর গোলাম আজম নাগরিকত্বের বৈধতা ঘোষিত হওয়ার পর, তিনি এই দলের আমীর নির্বাচিত হন। ২০০০ খ্রিষ্টাব্দে জামায়েত-ই-ইসলামীর আমীর পদে নির্বাচিত হন মতিউর রহমান নিজামী।

গোলাম আযমের বিচার প্রক্রিয়া


সূত্র :