হামজা শাহ
বাংলাদেশে  ইলিয়াস শাহী রাজবংশ-এর চতুর্থ শাসক।
ইলিয়াস শাহী রাজবংশ-এর তৃতীয় সুলতান আজম শাহ -এর পুত্র। ১৪১০ খ্রিষ্টাব্দে আজম শাহ -এর মৃত্যুর পর হামজা শাহ সিংহাসনে আরোহণ করেন। সিংহাসনে আরোহণের পর তিনি নাম গ্রহণ করেন সৈয়ফউদ্দিন হামজা শাহ।

তাঁর রাজত্বকালের রাজ্যের আমিররা অত্যন্ত শক্তিশালী হয়ে উঠেন। ১৪১৩ খ্রিষ্টাব্দে হামজা শাহ মৃত্যুবরণ করেন।
উল্লেখ্য যোগ্য যুদ্ধ হলো, কামতার হিন্দু রাজ্য আক্রমণ। তবে অভিযান ব্যর্থ হয়েছিল। এছাড়া তিনি রাজ্য বিস্তারের চেয়ে, মিত্রতা স্থাপনের মধ্য দিয়ে সংঘাত এড়িয়ে রাজ্যকে সমৃদ্ধ করার চেষ্টা করেন। জৌনপুরের রাজার সাথে মিত্রতা করেন। সে সময়ে চীনের  সম্রাট ইয়োলুং-এর সাথে দূত বিনিময় করেন। ১৪০৬ খ্রিষ্টাব্দে চীনা-দূত মাহুয়ান বাংলাদেশে এসে তাঁর সাথে সাক্ষাৎ করেন। ১৪০৯ খ্রিষ্টাব্দে তিনি মৃত্যবরণ করেন। এরপর তাঁর পুত্র সৈয়ফদ্দিন হামজা শাহ সুলতান হন।

তাঁর রাজত্বকালে বাঙালি বিদ্যাপতির জীবিত ছিলেন। সম্ভবত এই সময়ে বড়ুচণ্ডীদাস শ্রীকৃষ্ণকীর্তন রচনা করেছিলেন বলে ধারণা করা হয়।


সূত্র :
বাংলাদেশের ইতিহাস/রমেশচন্দ্র মজুমদার।
ভারতের ইতিহাস । অতুলচন্দ্র রায়, প্রণবকুমার চট্টোপাধ্যায়।