হেমেন্দ্রনাথ ঠাকুর
(
১৮৪৪-১৮৮৪ খ্রিষ্টাব্দ)
গীতিকার, সুরকার। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরেরর সেজদাদা।

১৮৪৪ খ্রিষ্টাব্দের ২০ জানুয়ারি (৮ মাঘ ১২৫০ বঙ্গাব্দ), কলকাতার ঠাকুর পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পিতার নাম 
দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং মায়ের নাম সারদাসুন্দরী দেবী। তিনি ছিলেন পিতামাতার তৃতীয় পুত্র।

শৈশব থেকে তাঁর লেখাপড়া এবং শরীরচর্চার দিকে বিশেষ নজর ছিল।
তিনি কিছুদিন কলকাতা মেডিকেল কলেজে অধ্যায়ন করেন। এছাড়া বাড়িতে ফরাসি শিক্ষকের কাছে বিদ্যাভ্যাস করেন। এই সূত্রে তিনি মার্শাল আর্টও শেখেন এবং সেকালের মার্শাল আর্ট চর্চাকারীদের মধ্যে তিনি অন্যতম ব্যক্তি হিসেবে চিহ্নিত হতেন। কিছুদিন তিনি ঠাকুর বাড়ির কিশোরদের বিদ্যাশিক্ষার ভার নেন।

১৮৬৩ খ্রিষ্টাব্দের ২৬ নভেম্বর (১১ অগ্রহায়ণ ১২৭০ বঙ্গাব্দ), সাঁতরাগাছি নিবাসী হরদেব চট্টোপাধ্যায়ের কন্যা নীপময়ী দেবীকে বিবাহ করেন। এঁদের মোট তিন পুত্র ও আট কন্যা ছিল। এঁরা হলেন- পুত্র: হিতেন্দ্রনাথ ঠাকুর, ক্ষিতীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও ঋতেন্দ্রনাথ ঠাকুর। কন্যাদের নাম: প্রতিভা, প্রজ্ঞা অভিজ্ঞা, মনীষা, শোভনা, সুনৃতা, সুষমা ও সুদক্ষিণা।

পিতা দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর যখন ব্রাহ্মধর্ম ও ব্রাহ্মসমাজ নিয়ে কলকাতায় কাজ শুরু করেন, তখন নানাভাবে তিনি পিতার পাশে এসে দাঁড়িয়েছন।

১৮৬৭ খ্রিষ্টাব্দে তিনি বেতার তরঙ্গ, তড়িৎ-চুম্বক ক্ষেত্রে গবেষণা করেন। ১৮৭২-৭৩ খ্রিষ্টাব্দের ভিতরে এই বিষয়ে তাঁর কি্ছু প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছিল। ১৮৭৪ খ্রিষ্টাব্দে তিনি রচনা করেন 'প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের স্থূলমর্ম' নামক একটি প্রবন্ধ গ্রন্থ। অপ্রয়োজনীয় মনে করে আদি ব্রাহ্মসমাজ তাঁর ঠাকুর দাদা দ্বারকানাথ ঠাকুর এবং হেমেন্দ্রনাথ ঠাকুরের পাণ্ডুলিপি নষ্ট করে ফেলে।

১৮৮৪ খ্রিষ্টাব্দের ২রা জুন (২১ জ্যৈষ্ঠ ১২৯১ বঙ্গাব্দ) তিনি মৃত্যবরণ করেন।

কিন্তু ঠাকুর বাড়ির সাঙ্গীতিক পরিবেশে, তিনিও শৈশব থেকে সঙ্গীত অনুরক্ত হয়ে উঠছিলেন। তাই বিজ্ঞানবিষয়ক প্রবন্ধাদি রচনার পাশাপাশি গান রচনাতে তিনি সিদ্ধহস্ত ছিলেন। বিশেষ করে সত্যেন্দ্রনাথের ধ্রুপদের সুর অবলম্বনে তিনিও কিছু ব্রহ্মসঙ্গীত রচনা করেছিলেন। এর ভিতরে উল্লেখযোগ্য গানগুলো
            আনন্দ-ধারা প্রবাহে

            জয় জয় ব্রহ্মা
           
নাথ, তুমি ব্রহ্ম, তুমি নিত্য