নূরে আলম সিদ্দিকী
রাজনীতিবিদ, মুক্তিযোদ্ধা, সাংসদ।
বাংলাদেশের ঝিনাইদহ জেলায় জন্মগ্রহণ করেন।

১৯৬৩ খ্রিষ্টাব্দে তিনি ঢাকায় আসেন। পিতার আওয়ামী লীগের করার সুবাদে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে প্রবেশ। তিনি তখন থাকতেন এফ এইচ (ফজলুল হক) হলে।
১৯৭০-১৯৭২ মেয়াদে তিনি ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে মুক্তিযুদ্ধে ছিল তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।
১ মার্চ থেকে স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠনে তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। ২ মার্চ সকাল ১১ টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনের বটতলায় ডাকসু ও ছাত্রলীগের যৌথ উদ্যোগে আয়োজন করা হয় ছাত্র-জনতার এক বিশাল সমাবেশে। এই সমাবেশে শিল্পী শিবনারায়ণ দাশের পরিকল্পনা ও অঙ্কনে সবুজ পটভূমিকার ওপর লাল বৃত্তের মাঝখানে বাংলার সোনালি মানচিত্র-সংবলিত স্বাধীন বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার উত্তোলন করেন ডাকসুর তৎকালীন সভাপতি আ.স.ম আব্দুর রব। এই সভায় উপস্থিত ছিলেন- ছাত্রলীগের তৎকালীন সভাপতি নূরে-আলম-সিদ্দিকী, ছাত্রলীগ সম্পাদক শাজাহান সিরাজ, ডাকসুর সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কুদ্দুস মাখন ও পূর্বতন ছাত্রনেতা তোফায়েল আহমদ প্রমুখ । 

৮ মার্চ (সোমবার, ২৩ ফাল্গুন ১৩৭৭ বঙ্গাব্দ) ছাত্রলীগের সভাপতি নূরে-আলম-সিদ্দিকী ও সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান সিরাজ এবং ডাকসুর সহ-সভাপতি আ. স. ম. আব্দুর রব ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কুদ্দুস মাখন এক যুক্ত বিবৃতিতে বলেন, বাংলার বর্তমান মুক্তি আন্দোলনকে ‘স্বাধীনতার আন্দোলন’ ঘোষণা করে স্বাধীন বাংলার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রেসকোর্স ময়দানের ঐতিহাসিক
নসভায় যে প্রত্যক্ষ কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন আমরা তার প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে স্বাধীনতা আন্দোলনে ঐক্যবদ্ধভাবে ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য বাংলার সংগ্রামী জনতার প্রতি আহবান জানাচ্ছি।'

১০ই মার্চ (বুধবার ২৫ ফাল্গুন ১৩৭৭ বঙ্গাব্দ), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্জেন্ট জহুরুল হক ছাত্রাবাসের প্রাঙ্গনে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের উদ্যোগে একটি জনসভা হয়। এই সভার সভাপতিত্ব করেছিলেন নূরে-আলম-সিদ্দিকী


২৩ মার্চ আউটার স্টেডিয়ামে জয়বাংলা স্বেচ্ছাসেবকদের প্যারেডে তিনি-সহ অপর চারনেতা অভিবাদন গ্রহণ করেন। অপর তিন নেতা ছিলেন নূরে-আলম-সিদ্দিকী, শাহজান সিরাজ ও আসম আব্দুর রব। পরে তিনি ও অন্যান্য নেতাকর্মী জয়বাংলা স্বেচ্ছাসেবকদের সাথে বঙ্গবন্ধু'র  বাড়িতে গিয়ে তাঁকে সামরিক কায়দায় অভিবাদন জানান

১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে
মুজিববাহিনীর অন্যতম কর্ণধার ছিলেন তিনি।

১৯৭৩ খ্রিষ্টাব্দে যশোর-২ আসন থেকে প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে তৎকালীন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

১৯৯৬ খ্রিষ্টাব্দের ১২ জুন  সপ্তম ও ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে তিনি ঝিনাইদহ-২ আসন থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে পরাজিত হয়েছিলেন।