১৯৫০ খ্রিষ্টাব্দে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিকম পরীক্ষায় প্রথম হওয়া সত্ত্বেও রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনে সম্পৃক্ত থাকার কারণে তৎকালীন কর্তৃপক্ষ তাঁকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিস্কার করা
হয়।
১৯৫৭ খ্রিষ্টাব্দে কাগমারী সম্মেলনের মধ্য দিয়ে সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী
রাজনৈতিক মেরুকরণের সময় তিনি মাওলানা ভাসানীর সাথে প্রগতিশীলদের পক্ষে যোগ দেন।
১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর, আধিপত্যবাদ বিরোধীতার নামে
মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী অবস্থান গ্রহণ করেন।
১৯৭৪ খ্রিষ্টাব্দে তিনি সরকার বিরোধী আন্দোলন শুরু করেন। সরকার ১৪৪ ধারা জারি করে
সভা সমিতি বন্ধ করার প্রতিবাদে, এই বছরের ২৮ জুন হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। ৯ই
অক্টোবর ১৪৪ ধারা হাইকোর্ড জারিকে অবৈধ ঘোষণা করে। ১৯৭৪ খ্রিষ্টাব্দের ৩০ জুন বিশেষ
ক্ষমতা আইনে সরকার তাকে গ্রেফতার করে কারাগারে নিক্ষেপ করে।
১৯৭৬ খ্রিষ্টাব্দের ২২ সেপ্টেম্বর, ধর্মীয় মূল্যবোধ ও বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে
খন্দকার মোশতাক আহমেদের নেতৃত্বে গড়ে
ওঠা ডেমোক্রেটিক লীগে অলি আহাদ যোগ দেন। কিন্তু মতবিরোধের কারণে
মোশতাক আহমেদকে বাদ দিয়ে
তিনি আলাদাভাবে ডেমোক্রেটিক লীগ পুনঃগঠন করেন এবং দলটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
২০১২ খ্রিষ্টাব্দে তিনি ঢাকায় মৃত্যবরণ করেন।
সম্মাননা: স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে তার বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তাঁকে স্বাধীনতা পুরস্কার ২০০৪ প্রদান করা হয়।