প্রতিভা দেবী
(
১৮৬৫/৬৬-১৯২২ খ্রিষ্টাব্দ)
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সেজদাদা হেমেন্দ্রনাথ ঠাকুরের কন্যা। মায়ের নাম নীপময়ী দেবী।

১৮৬৫ খ্রিষ্টাব্দের ৭ই জানুয়ারি (২৩ পৌষ ১২৭১ বঙ্গাব্দ) জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। প্রশান্তকুমার পাল তাঁর 'রবিজীবনী' গ্রন্থের প্রথম খণ্ডে প্রতিভা দেবীর জন্ম ১৮৬৬ খ্রিষ্টাব্দের জুলাই মাসে। তিনি ছিলেন পিতামাতার তিন পুত্র ও আট কন্যার ভিতরে জ্যেষ্ঠা।

১৮৭১ খ্রিষ্টাব্দের এপ্রিল মাস থেকে প্রতিভা দেবী বেথুন স্কুলে যাওয়া শুরু করেন। শৈশব থেকে ঠাকুর বাড়ির সাঙ্গীতিক পরিবেশে তিনি বড় হয়ে ওঠেন। তাঁর গানের শিক্ষালাভ ঘটেছিল ঠাকুরবাড়ির গুণী সঙ্গীতশিক্ষকদের কাছে। তিনি এই সময় কণ্ঠসঙ্গীতের পাশাপাশি সেতার বাদনও শিখেছিলেন। অক্ষয়চন্দ্র সরকারের সম্পাদিত 'সাধারণী' পত্রিকার ৩ জ্যৈষ্ঠ ১২৮২ বঙ্গাব্দ সংখ্যা থেকে জানা যায় যে, প্রতিভা দেবী এবং তাঁর ভাই হিতেন্দ্রনাথ 'বিদ্বজ্জন সভা'য় সেতার বাজিয়েছিলেন।

১৮৭৯ খ্রিষ্টাব্দের মার্চ মাসে প্রতিভা বেথুন স্কুল ছেড়ে দিয়ে লরেটা হাউস নামক স্কুলে ভর্তি করা হয়।
১৮৮১ খ্রিষ্টাব্দের ফেব্রুয়ারি মাসে ঠাকুর বাড়িতে অনুষ্ঠিত বিদ্বজ্জন সভায় রবীন্দ্রনাথের গীতিনাট্য 'বাল্মীকিপ্রতিভা' মঞ্চস্থ হয়। ওই গীতিনাট্যে রবীন্দ্রনাথ 'বাল্মীকি' চরিত্রে এবং প্রতিভা 'সরস্বতী' চরিত্র রূপায়ণ করেছিলেন।

১৮৯৬ খ্রিষ্টাব্দের ১৪ আগস্ট (১২৯৩ বঙ্গাব্দের ৩০ শ্রাবণ) আশুতোষ চৌধুরীর সাথে তাঁর বিবাহ হয়।

১৯১১ খ্রিষ্টাব্দের দিকে তিনি'সঙ্গীত সঙ্ঘ' নামে একটি সঙ্গীতবিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
১৯১৩ খ্রিষ্টাব্দে (১৩২০ বঙ্গাব্দের শ্রাবণ) তিনি এবং ইন্দিরাদেবী চৌধুরাণী, আনন্দ-সঙ্গীত পত্রিকা নামক একটি সঙ্গীতবিষয়ক পত্রিকা সম্পাদনা করা শুরু করেন। মূলত এই পত্রিকাটি ছিল 'সঙ্গীত সঙ্ঘ'-এর মুখপত্র।

১৯২২ খ্রিষ্টাব্দের ৭ জানুয়ারি (শনিবার, ২৩ পৌষ ১৩২৮ বঙ্গাব্দ) মৃত্যুবরণ করেন।