রামগুপ্ত
ভারতবর্ষের
গুপ্তরাজবংশের পঞ্চম রাজা।

৩৮০ খ্রিষ্টাব্দে সমুদ্রগুপ্তের মৃত্যুর পর রাজা হন তাঁর রামগুপ্ত। রাজ্যলাভের পরপরই তিনি নিজের নামে মুদ্রা প্রকাশ করেন। শকরাজ রুদ্রসেন রামগুপ্তের অসাধারণ সুন্দরী স্ত্রী ধ্রুবদেবীকে অধিকার করার জন্য, আকস্মিকভাবে একটি অভিযান চালান। এই অভিযানে তিনি রামগুপ্তকে হত্যা করেন এবং ধ্রুবদেবীকে অপহরণ করে নিয়ে যান। এই ঘটনার পরপরই সমুদ্রগুপ্তের অপর সন্তান চন্দ্রগুপ্ত দ্রুত রাজ্যের শাসনভার গ্রহণ করে, তাৎক্ষণিক অস্থির পরিস্থিতি সামাল দেন। এরপর শকরাজা রুদ্রসেনকে শাস্তি দেওয়ার জন্য অভিযান চালান। এই যুদ্ধে তিনি রুদ্রসেনকে পরাজিত ও  হত্যা করে ধ্রুবদেবীকে উদ্ধার করেন। চন্দ্রগুপ্ত ধ্রুপদেবীর সৌন্দর্যে মোহিত হয়ে, তৎকালীন সামাজিক বিধিকে অগ্রাহ্য করেই তিনি ধ্রুবদেবীকে বিবাহ করেছিলেন। এরপর গুপ্তসাম্রাজ্যের রাজা হন চন্দ্রগুপ্ত দ্বিতীয়

এই কাহিনি নানাভাবে পাওয়া যায় রামচন্দ্র-গুণচন্দ্র রচিত 'নাট্যদর্পণ' নাটকে, বিশাখদত্ত রচিত 'দেবীচন্দ্রগুপ্তম' গ্রন্থে এবং বাণভট্ট রচিত 'হর্ষচরিত' গ্রন্থে। এছাড়া রামগুপ্তের নামাঙ্কিত কিছু মুদ্রাও পাওয়া যায়। রাষ্ট্রকূটরাজ 'প্রথম অমোঘবর্ষের (৮৭৯ খ্রিষ্টাব্দ) 'সঞ্জন অনুশানলিপিতে উল্লেখ আছে, 'এক গুপ্ত যুবরাজকে হত্যা করে তাঁর রাজ্য ও মহিষীকে অধিকার করেছিলেন।
তবে কোনো কোনো ঐতিহাসিক রামগুপ্তের রাজ্যলাভকে অস্বীকার করেন। 


সূত্র :
বাংলাদেশের ইতিহাস (আদিপর্ব)/রমেশচন্দ্র মজুমদার।
ভারতের ইতিহাস । অতুলচন্দ্র রায়, প্রণবকুমার চট্টোপাধ্যায়।