স্কন্ধগুপ্ত
ভারতবর্ষের
গুপ্তরাজবংশের নবম রাজা।

গুপ্তবংশের কুমারগুপ্ত মহেন্দ্রাদিত্য (৪১৪-৪৫৫ খ্রিষ্টাব্দ)-এর মৃত্যুর পর ইনি উত্তরাধিকার সূত্রের রাজা হন। কুমারগুপ্ত-এর দুই মহিষীর মধ্যে প্রথম মহিষীর পুত্র ছিলেন পুরুগুপ্ত। পক্ষান্তরে কুমারগুপ্ত-এর দ্বিতীয় স্ত্রী দেবকীর গর্ভে জন্মগ্রহণ করেছিলেন স্কন্ধগুপ্ত। ৪৫৫ খ্রিষ্টাব্দে কুমারগুপ্ত-এর মৃত্যুর পরে তাঁর প্রথম সন্তান হিসেবে পুরুগুপ্ত রাজত্ব লাভ করেন। কিন্তু রাজ্য চালনায় এবং বীরত্বের দিক থেকে তাঁর বৈমাত্রৈয় ভাই স্কন্ধগুপ্ত-এর সমতুল্য ছিলেন। ফলে রাজ্য লাভের কিছুদিন পরই স্কন্ধগুপ্ত তাঁকে পরাজিত করে গুপ্ত সাম্রাজ্যের রাজা হন।

কুমারগুপ্তের রাজ্যত্বের শেষভাগে পুষ্যমিত্র নামক এক উপজাতির আক্রমণে গুপ্তরাজ্য চরম ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল। এই উপজাতির নেতা ছিলেন নরেন্দ্রসেন। যুবরাজ স্কন্ধগুপ্ত এই বিদ্রোহ কঠোরভাবে দমন করে, রাজ্য রক্ষা করতে সমর্থ হয়েছিলেন।  এই যুদ্ধের শেষে তাঁর সাম্রাজ্যে স্থিতিশীল অবস্থায় আনার আগেই ৪৫৫ খ্রিষ্টাব্দে কুমারগুপ্ত মৃত্যুবরণ করেন। আর্যমঞ্জুশ্রী-মূলকল্প থেকে জানা যায়, স্কন্ধগুপ্তকেই উত্তরাধিকার হিসেবে মনোনয়ন দিয়েছিলেন।

সিংহাসন লাভের পরপরই হুন জাতি আক্রমণ শুরু করে। ফলে গুপ্তসাম্রাজ্য বিপন্ন অবস্থায় পতিত হয়। কিন্তু স্কন্ধগুপ্ত দৃঢ়তার সাথে এই আক্রমণ প্রতিহত করেন। এছাড়া দাক্ষিণ্যত্যে বকাটকরা গুপ্ত সাম্রাজ্য আক্রমণ করেছিল। স্কন্ধগুপ্ত সে আক্রমণও প্রতিহত করেন।

স্কন্ধগুপ্ত ৪৬৭ খ্রিষ্টাব্দে মৃত্যুবরণ করেন। এরপর রাজত্ব লাভ করেন পুরুকুমার গুপ্ত
 


সূত্র :
বাংলাদেশের ইতিহাস (আদিপর্ব)/রমেশচন্দ্র মজুমদার।
ভারতের ইতিহাস । অতুলচন্দ্র রায়, প্রণবকুমার চট্টোপাধ্যায়।