কুমারগুপ্ত মহেন্দ্রাদিত্য
ভারতবর্ষের
গুপ্তরাজবংশের সপ্তম রাজা। গুপ্তবংশের
চন্দ্রগুপ্ত দ্বিতীয়
(৩৮০-৪১৩ খ্রিষ্টাব্দ)-এর পুত্র।
৪১৩ খ্রিষ্টাব্দে
চন্দ্রগুপ্ত
দ্বিতীয় -এর মৃত্যর
পর তিনি গুপ্ত সম্রাজ্যের রাজা হন।
তাঁর প্রকৃত নাম কুমারগুপ্ত।
রাজ্যলাভের পর তিনি মহেন্দ্রাদিত্য উপাধী গ্রহণ করেন। তাঁর দুই স্ত্রীর নাম ছিল
অনন্তদেবী। এঁর গর্ভের পুত্রের নাম ছিল পুরগুপ্ত। অপরস্ত্রীর নাম ছিল দেবকী। এঁর
গর্ভজাত পুত্রের নাম ছিল স্কন্ধগুপ্ত।
তাঁর রাজত্বের সময় উল্লেখযোগ্য তেমন কোন ঘটনার উল্লেখ পাওয়া যায় না। সমুদ্রগুপ্তের
মতো ইনিও
অশ্বমেধ
সম্পন্ন করেছিলেন। তাঁর রাজত্বকালে গুপ্ত সাম্রাজ্য সৌরাষ্ট্র থেকে উত্তর বঙ্গ এবং
হিমালয় থেকে নর্মদা নদী পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। কুমারগুপ্তের রাজ্যত্বের শেষভাগে
পুষ্যমিত্র নামক এক উপজাতির আক্রমণে গুপ্তরাজ্য চরম ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল। এই উপজাতির
নেতা ছিলেন নরেন্দ্রসেন। যুবরাজ
স্কন্ধগুপ্ত এই বিদ্রোহ কঠোরভাবে দমন করে, রাজ্য
রক্ষা করতে সমর্থ হয়েছিলেন। এই যুদ্ধের শেষে তাঁর সাম্রাজ্যে স্থিতিশীল
অবস্থায় আনার আগেই ৪৫৫ খ্রিষ্টাব্দে কুমারগুপ্ত মৃত্যুবরণ করেন। এরপর রাজা হন
পুরুগুপ্ত। পরে
স্কন্ধগুপ্ত তাঁকে পরাস্ত করে রাজা হন।
সূত্র :
বাংলাদেশের
ইতিহাস (আদিপর্ব)/রমেশচন্দ্র মজুমদার।
ভারতের ইতিহাস । অতুলচন্দ্র রায়, প্রণবকুমার চট্টোপাধ্যায়।