সুলেইমান শাহ
(১১৬৬-১২২৭ খ্রিষ্টাব্দ)
তিনি অঘুজ তুর্কিদের কায়ি গোত্রের মুসলিম নেতা। তাঁর পূর্ণ নাম সুলেইমান শাহ বিন
কায়া আল্প।
আনুমানিক ১১৬৬ খ্রিষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা
কায়া আল্প
ছিলেন যোদ্ধা। ১২০০
খ্রিষ্টাব্দের দিকে কায়া আল্প স্থানীয় নেতা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছিলেন। এই
সময় সুলেইমান শাহ খোয়ারিজমিয়ান সাম্রাজ্যের কর্মচারী ছিলেন।
১২১৯ খ্রিষ্টাব্দের
চেঙ্গিশ খান
মধ্য এশিয়া অভিযান চালান এবং প্রতিটি ক্ষেত্রে তিনি জয়ী হন। এই সময়
পারস্য ও কেন্দ্রীয় এশিয়ায় শাসক খারজুম শাহ মুহাম্মদের সঙ্গে বৈরিতার সৃষ্টি হয়
চেঙ্গিশ খানের। ১২২০ খ্রিষ্টাব্দে চেঙ্গিশ খান, তৎকালীন পারস্য সাম্রাজ্যের অন্যতম
নগর
সমরকন্দ দখল করেন এবং নগরটিকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছিলেন।
১২২৪ খ্রিষ্টাব্দে তিনি ভারত থেকে ফেরার পথে তিনি পারশ্যের খোয়ারাজমিয়ান রাজ্য
দখল করেন। পরে মধ্য এশিয়ার ইলি নদীর তীরে বিজয় উৎসব পালন করেন। এই সময়
খারজুমের সুলতান কাস্পিয়ান সাগরের দিকে পালিয়ে গেলে, এই রাজ্য তাঁর অধিকারে আসে।
এই সময় খোয়ারাজমিয়ান রাজ্যের সেনাবাহিনী চারিদিক ছড়িয়ে পড়ে। সুলেইমান শাহও এই সময়
তাঁর বাহিনী নিয়ে সিরিয়ার দিকে যাত্রা করেন। পথিমধ্যে সুলেইমান শাহের মৃত্যু হয়।
এরপর এই বাহিনীর স্থলাভিষিক্ত হন, তাঁর পুত্র
আর্তুগ্রুল গাজী।
তাঁর স্ত্রীর নাম ছিল হালিমা খাতুন। এঁর
পুত্ররা ছিলেন- সঙ্গুরতেকিন বে,
আর্তুগ্রুল
বে, গুন্দুগ বে এবং দুন্দার বে।