উমাপতি ধর
খ্রিষ্টীয় ১২শ শতকের সংস্কৃত কবি।  রাজা লক্ষণসেন (১১৭৯-১২০৬ খ্রিষ্টাব্দ) রাজসভার পঞ্চরত্নের অন্যতম। উল্লেখ্য অপর চারজন ছিলেন জয়দেব, গোবর্ধন আচার্য ধোয়ী

 

তিনি সুবর্ণগ্রামে (বর্তমান বাংলাদেশের সোনারগাঁও) জন্মগ্রহণ করেছিলেন। উমাপতিধরের কোনো মুখ্য রচনা পাওয়া যায় নি। গবেষকদের মতে লক্ষণসেন-এর পিতামহ  বিজয়সেন-এর  দেওপাড়া শিলালেখ তিনি রচনা করেছিলেন। উল্লেখ্য, এটি সংস্কৃত অলঙ্কারশাস্ত্রোক্ত গৌড়ীয় রীতির নমুনা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এছাড়া তিনি লক্ষণসেন-এর মাধাইনগর তাম্রশাসনও রচনা করেন বলে ধারণা করা হয়।

জয়দেব তাঁর গীতগোবিন্দম্ কাব্যে উমাপতির বাগ্-বিন্যাসের প্রশংসা করেছেন। শ্রীধরদাসের সদুক্তিকর্ণামৃত, জল্হনের সূক্তিমুক্তাবলী এবং রূপগোস্বামীর পদ্যাবলী ও শার্ঙ্গধরপদ্ধতি কোষকাব্যে উমাপতির বেশ কিছু শ্লোক উদ্ধৃত হয়েছে। বৈষ্ণবতোষিণী গ্রন্থেও তাঁর অনেক শ্লোক পাওয়া যায়। তাঁর কোনো কোনো শ্লোকে লক্ষ্মণসেনের বিজয়কাহিনী বর্ণিত হয়েছে।

সংস্কৃত সাহিত্যের ইতিহাসে আরও দুজন উমাপতির নাম জানা যায়। তাঁদের একজন শ্রীকৃষ্ণের জীবন অবলম্বনে কৃষ্ণচরিত ও চন্দ্রচূড়চরিত কাব্য প্রণয়ন করেন। অপরজনের গ্রন্থের নাম পারিজাতহরণ। গ্রিয়ার্সনের মতে, এ উমাপতি ১৪০০ খ্রিষ্টাব্দের কাছাকাছি কোনো এক সময় বর্তমান ছিলেন। আবার কেউ কেউ এ তিনজনকে একই ব্যক্তি বলে মনে করেন।


সূত্র: