বিষয়: নজরুল সঙ্গীত।
শিরোনাম: বনের হরিণ বনের হরিণ
নাটক : ‘লায়লী-মজনু’
বনের হরিণ বনের হরিণ ওরে কপট চোর।
কেমন ক’রে করলি চুরি প্রিয়ার আঁখি মোর॥
লায়লীরে তুই দেখ্লি কখন
কর্লি বদল তোদের নয়ন,
ওরে বন হয়েছে স্বর্গ আমার হেরি নয়ন তোর॥
- ভাবার্থ:
লাইলী মজনু
রেকর্ড নাটকের এই গানে হরিণনয়না লাইলীর সাথে হরিণের প্রেমময় মায়াবী চোখের তুলনা
করা হয়েছে। এই গানে প্রেমিকা লাইলীর চোখের সৌন্দর্য মুখ্য হলেও, তা উপস্থাপিত
হয়েছে হরিণের চোখের উপমায়।
মজনু বনের হরিণীকে দোষারোপ করেছে তার প্রিয়তমা
লাইলীর চোখ হরণকারী কপট চোর হিসেবে। মজনুর অভিযোগ- হরিণী লাইলীর চোখ চুরি করেছে
বলেই হরিণীর চোখ এত সুন্দর। মজনু ভেবে পায় না, কখন লাইলীর সাথে দেখা তার
হয়েছিল, আর সেই সময় সে তার নিজের চোখের সাথে লাইলীর চোখের বদল করেছে। বনের
হরিণীর চোখের মায়ায় লাইলীবিহীন বনভূমি মজনুর কাছে স্বর্গতুলা হয়ে উঠেছে। তাই
বারে বারে মজনু হরিণীর চোখ দেখে লাইলীর চোখ দেখার সাধ মেটায় সে।
- রচনাকাল
ও স্থান:
গানটির রচনাকাল সম্পর্কে জানা যায় না। ১৯৩৫ খ্রিষ্টাব্দের আগষ্ট (শ্রাবণ-ভাদ্র
১৩৪২) মাসে, এইচএমভি এই গানটির প্রথম রেকর্ড প্রকাশ করেছিল। এই সময় নজরুল ইসলামের বয়স
ছিল ৩৬ বৎসর ২ মাস।
- রেকর্ড:
এইচএমভি।
রেকর্ড নাটিকা
লাইলী মজনু।
নাট্যকার
মন্মথ রায়।
আগষ্ট ১৯৩৫ (শ্রাবণ-ভাদ্র ১৩৪২)। পঞ্চম ও ষষ্ঠ খণ্ড। এন ৭৩৯৭। শিল্পী: ধীরেন দাস। চরিত্র: মজনু
- গ্রন্থ:
নজরুল-সঙ্গীত সংগ্রহ [কবি নজরুল ইনস্টিটিউট ফেব্রুয়ারি ২০১২। গান সংখ্যা ১৫৯৪। পৃষ্ঠা: ৪৭৭।
- স্বরলিপিকার ও স্বরলিপি:
- পর্যায়:
- বিষয়াঙ্গ: প্রকৃতি (জাগতিক, বনের হরিণ)
- সুরাঙ্গ: স্বকীয় বৈশিষ্ট্য
- তাল: বৈতালিক।
- গ্রহস্বর: ন