বিষয়: নজরুল সঙ্গীত।
শিরোনাম: মেঘের হিন্দোলা দেয় পূব-হাওয়াতে দোলা
রাগ: পিলু-কাফি, তাল: দাদরা
মেঘের হিন্দোলা দেয় পূব-হাওয়াতে দোলা।
কে দুলিবি এ-দোলায় আয় আয় ওরে কাজ-ভোলা॥
মেঘ-নটীর নূপুর
ঐ বাজে ঝুমুর ঝুমুর,
শীর্ণা-তনু ঝর্না তরঙ্গ-উতরোলা॥
ফুল-পসারিণী ঐ দুলিছে বনানী
বিনিমূলে বিলায় সে সুরভি, ফুল ছানি।
আজ ঘরে ঘরে ফুল-দোল্ সব বন্ধ দুয়ার খোলা॥
জলদ-মৃদঙ্ বাজে
গভীর ঘন আওয়াজে,
বাদলা-নিশীথ দুলে ঐ তিমির-কুন্তলা॥
- ভাবার্থ: বর্ষার মেঘকে এই গানে মেঘকে নৃত্যশীলা মেঘবালিকা রূপে উপস্থাপন
করা হয়েছে। পূব হাওয়ার দোলায় এই মেঘবালিকা আন্দোলিতা হয়। কবি কাজ ভুলে সবাইকে তার
দোলার ছন্দে দোলায়িত হতে সবাইকে আহ্বান করেছেন।
নৃত্যশীলা মেঘবালিকার ঝুমুর ঝুমুর জল-নূপুরের ছন্দে শীর্ণা ঝর্না- তরঙ্গে উদ্বেলিত
হয়ে ওঠে। পুষ্প-প্রদায়িনী বনভূমি বিনা মূলে তার পুষ্প-নির্যাসিত সুরভি বিতরণ করে।
এই মেঘের দোলায় মেতে পুষ্পরাশি। এই পুষ্পদোলের উৎসবে যোগ দেওয়ার জন্য কবি ঘর ছেড়ে
বর্ষার আঙিনায় সাবাইকে নেমে আসার আহ্বান করেছেন।
দিন শেষে নেমে আসে রাত্রির অন্ধকার। মেঘমালিকার মেঘমৃদঙ্গের গম্ভীর ধ্বনির ছন্দের-
নৃত্যসঙ্গী হয়ে ওঠ রাত্রি। রাত্রি যেন তার অন্ধকার ঘন-কেশরাশি দুলিয়ে নৃত্যোৎসবের
অংশভাগী হয়ে যায়।
- রচনাকাল ও স্থান: গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা
যায় না। 'গুলবাগিচা
'
গীতি-সংকলনের প্রথম সংস্করণে [১৩ আষাঢ় ১৩৪০, ২৭ জুন ১৯৩৩] গানটি
প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল। এই সময় নজরুলের বয়স ছিল ৩৪ বৎসর ১ মাস।
- গ্রন্থ:
-
গুলবাগিচা
- প্রথম সংস্করণ [১৩ আষাঢ় ১৩৪০, ২৭ জুন ১৯৩৩।
পিলু-কাফি-দাদরা। পৃষ্ঠা: ৩২]
- নজরুল রচনাবলী, জন্মশতবর্ষ সংকলন। পঞ্চম খণ্ড। বাংলা একাডেমী। ঢাকা।
জ্যৈষ্ঠ ১৪১৮ মে, ২০১১। গুল-বাগিচা। গান সংখ্যা ২৭। পিলু-কাফি-দাদরা। পৃষ্ঠা ২৪০-৪১]
- নজরুল-সঙ্গীত সংগ্রহ [নজরুল ইনস্টিটিউট ফেব্রুয়ারি ২০১২। গান সংখ্যা
১৬৮৪। রাগ: পিলু-কাফি, তাল: দাদরা পৃষ্ঠা: ৫০২-৫০৩]
- রেকর্ড: মেগাফোন [জুলাই ১৯৩৫ (আষাঢ়-শ্রাবণ ১৩৪২)]। জেএনজি ১৯৭ শিল্পী: শ্রীমতী
পারুল
- স্বরলিপি ও স্বরলিপিকার:
- জগৎ ঘটক।
সুরলিপি।
নজরুল ইন্সটিটিউট, ঢাকা। ১৪১০ বঙ্গাব্দ আগষ্ট, ২০০৩। [নমুনা]
পর্যায়: