কাফি রাগ
ভারতীয় সঙ্গীত শাস্ত্রে বর্ণিত রাগ বিশেষ।
কাফি ঠাটের
নিজস্ব অঙ্গের রাগ
বলে একে কাফির জনক রাগ বলে। এই রাগে তীব্র গান্ধার এবং তীব্র নিষাদ এই রাগের নিয়মিত
স্বর না হলে- এই স্বর দুটি বার বার ব্যবহৃত হয়। কোনো কোনো গুণী গায়ক অত্যন্ত
নিপুণতার সাথে কোমল ধৈবত ব্যবহার করে থাকেন।
গাইবার সময় মধ্যরাত্রি হলেও সকল সময়ই
সঙ্গীতজ্ঞগন এই রাগ গেয়ে থাকেন ।
গায়নাচার্য সুরেন্দ্র নারায়ণ দাশের মতে, প্রবাদ আছে
এই রাগের প্রবর্তক ছিলেন আমীর খসরু । এই রাগে টপ্পা, ঠুমরী, দাদরা, বসন্তকালীন হোলি
গান বেশি শোনা যায় । এই রাগে খেয়াল অঙ্গের গান খুব কম শোনা যায় । রাগের প্রকৃতি
ক্ষুদ্র।
উল্লেখ্য, দক্ষিণ ভারতে এই রাগের দুটি নাম
পাওয়া যায়।
পণ্ডিত বেঙ্কটমখী'র মতে এর নাম শ্রীরাগ ও গোবিন্দাচার্যের মতে
খরহরপ্রিয়া ।
আরোহণ
: স র জ্ঞ ম প ধ ণ র্স
অবরোহণ
: র্স ণ ধ প ম জ্ঞ র স
ঠাট :
কাফি
জাতি
:সম্পূর্ণ-সম্পূর্ণ
বাদীস্বর
: পঞ্চম (গান্ধার মতান্তরে)
সমবাদী স্বর
:ষড়্জ (নিষাদ মতান্তরে)
অঙ্গ
: উত্তরাঙ্গ। (মতান্তরে পূর্বাঙ্গ)
সময়
: রাত্রি দ্বিতীয় প্রহর (মতান্তরে মধ্যরাত্রি)
পকড়
: স স, র র, জ্ঞ জ্ঞ, ম ম, প
তথ্যসূত্র :
- মগনগীত ও তান মঞ্জরী । চিন্ময় লাহিড়ী । ১৬ ই জুলাই ২০০৭ ।
- গুরু জ্ঞানপ্রকাশ ঘোষ ও সঙ্গীত শিক্ষা । দীপ্তিপ্রকাশ মজুমদার ।
- উচ্চাঙ্গ ক্রিয়াত্মক সঙ্গীত। শক্তিপদ ভট্টাচার্য। নাথ ব্রাদার্স। ২২ সেপ্টেম্বর ১৯৮৭।
- মারিফুন্নাগনাত। রাজা নওবাব আলী খান। অনুবাদ: মক্সুদুর রহমান হিলালী। বাংলা একাডেমী. বর্ধমান হাউস, ঢাকা। শ্রাবণ ১৩৭৪, জুলাই ১৯৬৭। পৃষ্ঠা: ২৫১-২৫২।
- রাগ মঞ্জুষা । গায়নাচার্য সুরেন্দ্র নারায়ন দাশ। ৬ মে ২০১১ ।
- রাগ-রূপায়ণ। সুরেশচন্দ্র চক্রবর্তী। জেনারেল প্রিন্টার্স য়্যান্ড পাব্লিশাসার্স প্রাইভেট লিমিটেড।
- রাগ বিন্যাস (প্রথম কলি)। শ্রীশচীন্দ্র নাথ ভট্টাচার্য্য। এস, চন্দ্র এন্ড কোং। শারদীয়া সপ্তমী, সেপ্টেম্বর ১৯৭৬।