তুমি সুন্দর তাই চেয়ে থাকি প্রিয়, সেকি মোর অপরাধ?
চাঁদেরে হেরিয়া কাঁদে চকোরিণী বলে না তো কিছু চাঁদ॥
চেয়ে’ চেয়ে’ দেখি ফোটে যবে ফুল
ফুল বলে না তো সে আমার ভুল
মেঘ হেরি’ ঝুরে’ চাতকিনী মেঘ করে না তো প্রতিবাদ॥
জানে সূর্যেরে পাবে না তবু অবুঝ সূর্যমুখী
চেয়ে’ চেয়ে’ দেখে তার দেবতারে দেখিয়াই সে যে সুখী॥
হেরিতে তোমার রূপ-মনোহর
পেয়েছি এ আঁখি, ওগো সুন্দর।
মিটিতে দাও হে প্রিয়তম মোর নয়নের সেই সাধ॥
সঞ্চারীতে ফুটে উঠেছে সম্ভোগহীন সৌন্দর্য-দর্শনের এক নান্দনিক অনুভূতি। সূর্যমুখী ফুল সূর্যকে পাবে না জেনেও সূর্যের সৌন্দর্য সন্দর্শনেই সুখী। এই গানের নায়িকা মনে করেন দয়িতার মনোহর রূপ দেখার জন্যই দেখবার মতো চোখ পেয়েছেন। তাঁর প্রিয়তমের রূপ দর্শন অপরাধ নয়। এই দেখাতেই সে সুখী। তাই প্রিয়তমের কাছে তার আকুল আবেদন, যেন প্রিয়তম তার রূপ সন্দর্শনের পিপাসা মেটানোর সুযোগ দেন।
১. চাঁদের কিরণ পান করে তৃপ্ত লাভ করে এমন পাখি বিশেষের নাম চকোর। স্ত্রীলিঙ্গে চকোরিণী।
২. মেঘ থেকে ঝরে পড়া জল ছাড়া, অন্য জন জল পান করে না, এমন কল্পিত পাখি কাব্যে চাতক নামে অভিহিত হয়ে থাকে। স্ত্রীলিঙ্গে চাতকিনী।