বিষয়: নজরুল সঙ্গীত।
শিরোনাম:
কোন অতীতের আঁধার ভেদিয়া আসিলে আলোক-জননী।
রাগ: সিন্ধুড়া, তাল:
একতাল
কোন অতীতের আঁধার ভেদিয়া আসিলে আলোক-জননী।
প্রভায় তোমার উদিল প্রভাত হেম্-প্রভ হ'ল ধরণী॥
ভগ্ন দুর্গে ঘুমায়ে রক্ষী
এলে কি মা তাই বিজয়-লক্ষ্মী,
'ম্যায় ভুখা হুঁ'র ক্রন্দন-রবে নাচায়ে তুলিলে ধমনী॥
এসো বাংলার চাঁদ-সুলতানা বরি-মাতা বীর-জায়া গো।
তোমাতে পড়েছে সকল কালের বীর-নারীদের ছায়া গো।
শিব-সাথে সতী শিবানী সাজিয়া
ফিরিছ শ্মশানে জীবন মাগিয়া,
তব আগমনে নব-বাংলার কাটুক আঁধার রজনী॥
- রচনাকাল: 'ফণি-মনসা' কাব্যগ্রন্থে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এই গ্রন্থে গানটির সাথে রচনার তারিখ উল্লেখ আছে 'মাদারিপুর ২৯শে ফাল্গুন ১৩৩২'
। এই সময় নজরুলের বয়স ছিল ২৬ বৎসর ১০ মাস।
উল্লেখ্য, ১৩৩২ বঙ্গাব্দের
২৯ শে ফাল্গুন [শনিবার, ১৩ই মার্চ ১৩৩২]
মাদারীপুরে আয়োজিত "নিখিল বঙ্গীয় ও আসাম প্রদেশীয় মৎসজীবী সম্মিলনী'-এ
নজরুল যোগদান করেন। মাদারিপুরে অবস্থানকালে, নজরুল কুমিল্লার রাজনৈতিক নেতা বসন্তকুমারের স্ত্রী হেমপ্রভা মজুমদারের
উদ্দেশ্যে এই গানটি রচনা করেছিলেন।
এই গানটিতে তিনি হেমপ্রভা মজুমদারকে'-কে জ্যোতির্ময়ী
মাতৃরূপে বন্দনা করেছেন। এই গানে কবির এই প্রত্যাশা রেখেছেন- হেমপ্রভা যেন চাঁদ
সুলতানার মতো আবির্ভূত হয়ে স্বদেশকে মুক্ত করেন।
- ফণী
মনসা
- প্রথম সংস্করণ [শ্রাবণ ১৩৩৪ বঙ্গাব্দ। শ্রাবণ মাসে (জুলাই-আগষ্ট ১৯২৭) শিরোনাম:
হেমপ্রভা । পৃষ্ঠ: ২]
- নজরুল-রচনাবলী, তৃতীয় খণ্ড [বাংলা একাডেমী, ফাল্গুন ১৪১৩। ফেব্রুয়ারি ২০০৭। ফণি-মনসা। শিরোনাম হেমপ্রভা। পৃষ্ঠা: ৪৩।]
-
নজরুল গীতিকা
- প্রথম সংস্করণ [১৬ ভাদ্র ১৩৩৭ বঙ্গাব্দ। মঙ্গলবার, ২ সেপ্টেম্বর ১৯৩০। জাতীয় সঙ্গীত। ১০। সিন্ধুড়া-একতালা। পৃষ্ঠা ৩৫]
- নজরুল রচনাবলী, জন্মশতবর্ষ সংস্করণ। তৃতীয় খণ্ড [বাংলা একাডেমী, ঢাকা জুন ২০১২। নজরুল গীতিকা। নজরুল গীতিকা। জাতীয় সঙ্গীত। ২৬। সিন্ধুড়া-একতালা। পৃষ্ঠা: ১৯০]