বিষয়: নজরুল সঙ্গীত।
শিরোনাম: পিয়া পাপিয়া পিয়া বোলে
পিয়া পাপিয়া পিয়া বোলে।
'পিউ পিউ পিউ কাঁহা' পাপিয়া পিয়া বোলে॥
সে পিয়া পিয়া সুরে বাদল ঝুরে, নদী-তরঙ্গ দোলে।
কূলে কূলে কুলু, কুলু নদী-তরঙ্গ দোলে।
ফুটিল দল মেলি' কেতকী, বেলি, শিখী পেখম খোলে।
দু'লে দু'লে দু'লে নেচে' শিখী পেখম খোলে॥
পিয়ায় যা'রা নাহি পেল হেথায়, তাহারা কি
এসেছে ধরায় পুন হইয়া পাপিয়া পাখি?
দেখিয়া ঘরে ঘরে তরুণীর কালো আঁখি
'পিউ কাঁহা পিউ কাঁহা' আজিও উঠিছে ডাকি'!
পিয়া পাপিয়া পিয়া বোলে॥
- ভাবার্থ: পাপিয়া এবং তার 'পিউ পিউ পিউ কাঁহা' ডাকে প্রকৃতিতে যে
বিরহের পরশ বুলিয়ে যায়, তাই নানা রূপকতায় উপস্থাপন করা হয়েছে এই গানে।
ক্ল্যামেটর গণের
অন্তর্গত এই পাখির করুণ ডাককে 'পিউ
কাঁহা' (প্রিয়া কোথায়) হিসেবে বিরহ-কাতার ধ্বনি হিসেবে উল্লেখ করা হয়। মূলত এই
পাখি তার সঙ্গীকে এই ডাকে মিলনের আহ্বান করে। এই গানে কবি পাপিয়ার এই ডাককে
সঙ্গিনীকে না পাওয়ার প্রতীক হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। এই ডাক যেন ক্রন্দসী হয়ে
নদী তরঙ্গকে আন্দোলিত করে। এই ডাকে সাড়া দিয়ে কেতকী, বেলি তার দল মেলে দেয়।
ময়ূর ময়ূরীর জন্য পেখম মেলে 'পিউ কাঁহা'র সাথে ছন্দে ছন্দে দোলে।
কবি ভাবেন পূর্বজন্মে যারা প্রিয়াকে যারা কখনো পায় নি, তারাই যেন পরজনমে পাপিয়া
হয়ে জন্ম নিয়েছে। জন্মান্তরিত পাপিয়া জনপদেদে তরুণীর কালো আঁখ দেখে- তার
পূর্বজন্মের স্মৃতি নিয়ে ডেকে ওঠে 'পিউ পিউ পিউ কাঁহা' বোলে।
- রচনাকাল ও স্থান: গানটির রচনাকাল সম্পর্কে
সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না। 'গুলবাগিচা
'
গীতি-সংকলনের প্রথম সংস্করণে [১৩ আষাঢ় ১৩৪০, ২৭ জুন ১৯৩৩] গানটি প্রথম
প্রকাশিত হয়েছিল। এই সময় নজরুলের বয়স ছিল ৩৪ বৎসর ১ মাস।
- গ্রন্থ:
-
গুলবাগিচা
- প্রথম সংস্করণ [১৩ আষাঢ় ১৩৪০, ২৭ জুন ১৯৩৩। পিলু-দাদরা। পৃষ্ঠা:
১৪]
- নজরুল রচনাবলী, জন্মশতবর্ষ সংকলন। পঞ্চম খণ্ড। বাংলা একাডেমী। ঢাকা।
জ্যৈষ্ঠ ১৪১৮ মে, ২০১১। গুল-বাগিচা। গান সংখ্যা ১২। পিলু-দাদরা। পৃষ্ঠা ২৩২]
- নজরুল-সঙ্গীত সংগ্রহ [নজরুল ইনস্টিটিউট ফেব্রুয়ারি ২০১২। গান সংখ্যা
২১৮৫। রাগ: পিলু,
তাল: দাদরা। পৃষ্ঠা: ৬৫৭]
- রেকর্ড: মেগাফোন [মার্চ ১৯৩৫ (ফাল্গুন-চৈত্র ১৩৪১)। জেএনজি ১৭৪। শিল্পী: মিস্ রেণুকা]
- স্বরলিপিকার ও স্বরলিপি:
- সুরকার: জ্ঞান দত্ত
- পর্যায়
- বিষয়াঙ্গ: প্রকৃতি, জাগতিক, পাপিয়া পাখি। শৃঙ্গার রস
- সুরাঙ্গ: গজল
- রাগ:
পিলু
- তাল:
দাদরা
- গ্রহস্বর: মা