বিষয়: নজরুল সঙ্গীত
শিরোনাম:
শিকলে যাদের উঠেছে বাজিয়া বীরের মুক্তি-তরবারি
'বন্দনা-গান'
কোরাস্ : শিকলে যাদের উঠেছে বাজিয়া বীরের মুক্তি-তরবারি।
আমরা তাদেরি ত্রিশ কোটি ভাই, গাহি বন্দনা-গীতি তা'রি॥
তাদেরি উষ্ণ শোণিত বহিছে আমাদেরও এই শিরা-মাঝে,
তাদেরি সত্য-জয়-ঢাক আজি মোদেরি কণ্ঠে ঘন বাজে।
সম্মান রহে তাহাদের তরে ক্রন্দন-রোল দীর্ঘশ্বাস,
তাহাদেরি পথ চলিয়া মোরাও বরিব ভাই ঐ বন্দী-বাস।
কোরাস্ : শিকলে যাদের উঠেছে বাজিয়া বীরের মুক্তি-তরবারি,
আমরা তাদেরি ত্রিশ কোটি ভাই, গাহি বন্দনা-গীতি তা'রি॥
মুক্ত বিশ্বে কে কার অধীন? স্বাধীন সবাই আমরা ভাই,
ভাঙিতে নিখিল অধীনতা-পাশ মেলে যদি কারা, বরিব তাই।
জাগেন সত্য ভগবান যে রে আমাদেরি এই বক্ষ-মাঝ,
আল্লার গলে কে দেবে শিকল, দেখে নেবো মোরা তাহাই আজ।
কোরাস্ : শিকলে যাদের উঠেছে বাজিয়া বীরের মুক্তি-তরবারি,
আমরা তাদেরি ত্রিশ কোটি ভাই, গাহি বন্দনা-গীতি তা'রি॥
কাঁদিব না মোরা, যাও কারা-মাঝে যাও তবে বীর-সংঘ হে!
ঐ শৃঙ্খলই করিবে মোদের ত্রিশ কোটি ভ্রাতৃ-অঙ্গ হে!
মুক্তির লাগি' মিলনের লাগি' আহুতি যাহারা দিয়াছে প্রাণ,
হিন্দু-মুসলিম চলেছি আমরা গাহিয়া তাদেরি বিজয়-গান।
কোরাস্ : শিকলে যাদের উঠেছে বাজিয়া বীরের মুক্তি-তরবারি,
আমরা তাদের ত্রিশ কোটি ভাই, গাহি বন্দনা-গীতি তা'রি॥
॥
- রচনাকাল:
'বঙ্গীয়
মুসলমান সাহিত্য পত্রিকা'য় প্রকাশিত গানটির
সাথে রচনার স্থান উল্লেখ ছিল- কান্দিরপাড়, কুমিল্লা'। উল্লেখ্য, নজরুলের
প্রথম বিবাহের ভেঙে যাওয়ার পর, দৌলতপুর থেকে
কান্দিরপাড়ে এসেছিলেন ৪ঠা আষাঢ় ১৩২৮ (১৮ই জুন ১৯২১) এবং ২৪ আষাঢ় ১৩২৮ (৮ই জুলাই
১৯২১) তিনি এখান থেকে কলকাতার
উদ্দেশ্যে রওনা দেন। তাই ধরেই নেওয়া যায়- এই গানটি তিনি রচনা করেছিলেন ৪ঠা
আষাঢ় থেকে ২৪ আষাঢ়ের ভিতরে। এই সময় নজরুলের বয়স ছিল ২২ বৎসর ১-২ মাস।
-
গ্রন্থ:
বিষের বাঁশি প্রথম সংস্করণ [১৬ই শ্রাবণ ১৩৩১
বঙ্গাব্দ (শুক্রবার ১ আগষ্ট ১৯২৪ খ্রিষ্টাব্দ)।
শিরোনাম:
বন্দনা-গান]
-
পত্রিকা:
সাধনা [অগ্রহায়ণ ১৩২৮ (নভেম্বর-ডিসেম্বর ১৯২১)। শিরোনাম: বিজয়ের গান]
-
পর্যায়: