বিষয়: নজরুলসঙ্গীত।
শিরোনাম: সখি, সেই ত পুষ্প-শোভিতা হ’ল আবার মাধবীলতা
সখি, সেই ত পুষ্প-শোভিতা হ’ল আবার
মাধবীলতা।
মাধবী চাঁদ উঠেছে আকাশে, আমার মাধব কোথা।
রাধা আজ নিরাধারা সখি রাধামাধব কোথা।
মধুপ গুঞ্জরে মালতী-বিতানে, নূপুর-গুঞ্জরণ নাহি
শুনি কানে।
মোর মনো-মধুবনে মধুপ কানু কই –
আনন্দ-রাস নাই – রাসবিহারী নাই, আমি আর রাধা নই।
সখি পূর্ণ রাসে আমি জনম লভিয়া পুষ্প আহরণ তরে,
কৃষ্ণ-পূজার লাগি পুষ্প আহরণ তরে ধেয়েছিনু বনে
অনুরাগ ভরে,
বৃন্দাবনচারী কৃষ্ণে না পেয়ে, রাধা কাঁদে ব্রজ-পথে
ধেয়ে ধেয়ে –
‘প্রাণবল্লভ আমার কই গো, সখি আমায় বলে দে গো।’
রাধা হ’ল আজি অশ্রুর ধারা
কৃষণ-আনন্দিনী রাধা বিনোদিনী করে হবে
শ্রীকৃষ্ণ-হারা॥
- রচনাকাল ও স্থান:
গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না। ১৯৩৯ খ্রিষ্টাব্দের
মে (বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ ১৩৪৫)
মাসে এইচএমভি রেকর্ড কোম্পানি থেকে গানটির
প্রথম রেকর্ড প্রকাশিত হয়েছিল। এই সময় নজরুলের বয়স ছিল ৩৯ বৎসর ১১ মাস।
- গ্রন্থ: নজরুল-সঙ্গীত সংগ্রহ [নজরুল ইনস্টিটিউট ফেব্রুয়ারি ২০১২। গান সংখ্যা ৩০৩৪। পৃষ্ঠা:
৯২৯]
- রেকর্ড: এইচএমভি [মে ১৯৩৯ (বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ
১৩৪৫)। এন ১৭২৮৪। শিল্পী:
বীণাপাণি দেবী। সুর: সুখময় গাঙ্গুলী]
- স্বরলিপিকার ও স্বরলিপি:
- সুরকার: সুখময় গাঙ্গুলী
- পর্যায়:
- বিষয়াঙ্গ: ভক্তি [সনাতন হিন্দু ধর্ম, বৈষ্ণব]
- সুরাঙ্গ:
কীর্তন