বিষয়: নজরুল সঙ্গীত।
শিরোনাম: কে পরালো মুণ্ডমালা আমার
কে পরালো মুণ্ডমালা আমার শ্যামা-মায়ের গলে।
সহস্র-দল জীবন-কমল দোলে রে যার চরণ-তলে॥
কে বলে মোর মা-কে কালো,
মায়ের হাসি দিনের আলো
মায়ের আমার গায়ের জ্যোতি গগন-পবন-জলে-স্থলে॥
শিবের বুকে চরণ যাঁহার কেশব যাঁরে পায় না ধ্যানে,
শব নিয়ে সে রয় শ্মশানে কে জানে কোন্ অভিমানে।
সৃষ্টিরে মা রয় আবরি,'
সেই মা নাকি দিগম্বরী?
তাঁরে অসুরে কয় ভয়ঙ্করী ভক্ত তাঁয় অভয়া বলে॥
- ভাবসন্ধান: এই গানটিতে মাতৃরূপিণী শ্যামার বহুরূপিণী বিস্ময়কর
মহিমাকে আত্মজিজ্ঞাসায় প্রশ্ন রেখেছেন নিজের কাছে এবং অন্যান্যদের কাছে।
গানটির স্থায়ীতে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন এই ভেবে- যাঁর চরণতলে সহস্রদল কমল (জীবন-শক্তির
উৎস) বিরাজ করে, তাঁর গলায় নরমুণ্ডুর মালা পরিয়ে দিলো কে!?। কেউ কেউ তাঁর গায়ের
শুধু কালো রঙ দেখেন, কিন্তু কবি তাঁর হাসিতে দেখেন দিব্যজ্যোতি। আর এই দেহের
জ্যোতি আচ্ছন্ন করে রেখেছে আকাশ-বাতাস, জলস্থলকে।
পৌরাণিক কাহিনিতে আছে, রক্তবীজ অসুর হত্যার পর, কালীর প্রাণনাশিনী ক্রোধ উপশমের
জন্য শিব তাঁর পায়ের তলায় স্থান নিয়েছিলেন। ধ্যান করেও কেশব (বিষ্ণু) তাঁর
দর্শন পায় না, অথচ সেই দেবী কোন অভিমানে শ্মশানে শবের সাথে থাকেন। যিনি
এই সৃষ্ট জগৎকে আবরিত করে রাখেন, শুধু তাঁর পূজ্য মূর্তি দেখে দিগম্বরী নামে
অভিহতা করা হয়, কবির কাছে এও এক বিস্ময়। বিস্ময়কর, জগৎ সংসারে অসুর তাঁকে দেখে
ভয়ঙ্করী রূপে, আর ভক্ত দেখেন অভয়ারূপে।
- রচনাকাল ও স্থান: গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে
কিছু জানা যায় না। ১৩৪১ বঙ্গাব্দের আশ্বিন (সেপ্টেম্বর-অক্টোবর
১৯৩৪ খ্রিষ্টাব্দ) মাসে প্রকাশিত
গানের মালা
গ্রন্থের
প্রথম সংস্করণে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। এই সময় নজরুলের বয়স ছিল ৩৫ বৎসর ৪ মাস।
- গ্রন্থ:
- গানের মালা। প্রথম সংস্করণ আশ্বিন ১৩৪১ বঙ্গাব্দ (সেপ্টেম্বর-অক্টোবর ১৯৩৪ খ্রিষ্টাব্দ)।
৪৫।
ভূপালী-দাদরা
- নজরুল রচনাবলী। জন্মশতবর্ষ সংকলন ষষ্ঠ খণ্ড। বাংলা একাডেমী, ঢাকা। জ্যৈষ্ঠ ১৪১৯, জুন ২০১২। গানের মালা।
৪৫। ভূপালী-দাদরা
। পৃষ্ঠা
২১৯- ২২০]
- রেকর্ড:
- এইচএমভি।
[নভেম্বর ১৯৩৪ (কার্তিক-অগ্রহায়ণ ১৩৪১)। এন ৭৩০২। শিল্পী: মৃণালকান্তি ঘোষ। ভূপালী-দাদরা ]
[শ্রবণ
নমুনা]
- এইচএমভি।
[ফেব্রুয়ারি ১৯৪৮ (মাঘ-ফাল্গুন ১৩৫৪)। এন ৭১৭৭। শিল্পী:
উত্তরা দেবী। সুরকার: নিতাই ঘটক।
জৌনপুরী-দাদরা ]
- স্বরলিপি ও স্বরলিপিকার:
- সুরকার: নিতাই ঘটক।
- পর্যায়:
- বিষয়াঙ্গ: ধর্মসঙ্গীত। সনাতন হিন্দুধর্ম। শাক্ত। শ্যামা। বন্দনা
- সুরাঙ্গ: রাগাশ্রয়ী
- রাগ:
জৌনপুরী
- তাল:
দাদরা
- গ্রহস্বর: র্সা