বিষয়: নজরুল সঙ্গীত।
শিরোনাম: সবুজ শোভার ঢেউ খেলে যায়
সবুজ শোভার ঢেউ খেলে যায়
নবীন আমন ধানের ক্ষেতে'॥
হেমন্তের ঐ শিশির-নাওয়া হিমেল হাওয়া
সেই নাচনে উঠলো মেতে ॥
টইটুম্বুর ঝিলের জলে
কাঁচা রোদের মানিক ঝলে
চন্দ্র ঘুমায় গগন-তলে সাদা মেঘের আঁচল পেতে'॥
নটকানো-রঙ শাড়ি প'রে কে বালিকা
ভোর না হতে যায় কুড়াতে শেফালিকা।
আন্মনা মন উড়ে বেড়ায়
অলস প্রজাপতির পাখায়
মৌমাছিদের সাথে সে চায় কমল-বনের তীর্থে যেতে'॥
- ভাবার্থ: প্রকৃতি পর্যায়ের এই গানটিতে হেমন্ত ঋতুর রূপ বর্ণনা করা
হয়েছে। শরত আর শীতের মধ্যবর্তী এই ঋতুতে থাকে শরতের সাদমেঘ, জলভরা ঝিলের
সৌন্দর্য। অন্যদিকে হিমেল হওয়ায় থাকে শীতের আমেজ, হালকা শিশিরপাত। এই গানে এই
দুই ঋতুর অন্তর্বরতী রূপ তুলে ধরা হয়েছে- বাণীর চিত্রলেখায়।
গানটির শুরুতে কবি, হেমন্তের শিশিরস্নাত হাওয়ায় হাওয়ায় নবীন আমন ধানের সবুজ
শোভার তরঙ্গ-সৌন্দর্যকে তুলে করেছেন নৃত্যানন্দের উপমায়। এই ঋতুতে কাঁচা রোদের
আভায় ভরা ঝিলের জল মানিকের মতো দ্যুতি ছড়ায়। নটকানো রঙের (নটকান ফুলের রঙ,
বাসন্তী রঙ) শাড়ি পড়ে পল্লীবালিকারা ভোর না হতেই ফুল কুড়াতে যায়। অলস প্রজাপতিরা
উড়ন্ত পাখায় ওড়ে, মনও যেন তার সাথে উড়ে বেড়ায়। মৌমাছিদের সাথে ঘরছাড়া মন উড়ে
যেতে যায় তীর্থরূপী পদ্ম-বনে।
- রচনাকাল ও স্থান: গানটির রচনাকাল সম্পর্কে
সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না। ১৯৩৪ বঙ্গাব্দের মার্চ (ফাল্গুন-চৈত্র
১৩৪০) মাসে এইচএমভি রেকর্ড কোম্পানি থেকে গানটির প্রথম রেকর্ড প্রকাশিত হয়েছিল। এই
সময় নজরুলের বয়স ছিল ৩৪ বৎসর ৯ মাস।
-
গ্রন্থ:
-
গীতি-শতদল।
- প্রথম সংস্করণ [বৈশাখ ১৩৪১। এপ্রিল ১৯৩৪।
খাম্বাজ- দাদরা]।গীতি-শতদল-১৭]
- নজরুল রচনাবলী, পঞ্চম খণ্ড [বাংলা একাডেমী। জ্যৈষ্ঠ ১৪১৮ মে, ২০১১। গীতি-শতদল। গান সংখ্যা
১৭। খাম্বাজ- দাদরা। পৃষ্ঠা
২৯৪]
- রেকর্ড:
এইচএমভি। মার্চ ১৯৩৪ (১৭ ফাল্গুন- ১৭ চৈত্র ১৩৪০)।
এন ৭২০৩। শিল্পী:
অনিমা বাদল
[শ্রবণ নমুনা]
- স্বরলিপিকার ও স্বরলিপি: রশিদুন্ নবী
[নজরুল-সঙ্গীত
স্বরলিপি, ষোড়শ খণ্ড। প্রথম সংস্করণ। নজরুল ইন্সটিটিউট আশ্বিন
১৪০৪/অক্টোবর ১৯৯৩। ২৩
সংখ্যক গান] [নমুনা]
- সুরকার: কাজী নজরুল ইসলাম
- পর্যায়:
- বিষয়াঙ্গ: প্রকৃতি (ঋতু, হেমন্ত)
- সুরাঙ্গ: স্বকীয় বৈশিষ্ট্য
- তাল:
দাদরা
- গ্রহস্বর: পা