বিষয়: নজরুল সঙ্গীত।
শিরোনাম: যবে তুলসীতলায় প্রিয় সন্ধ্যাবেলায় তুমি করিবে প্রণাম
যবে তুলসীতলায় প্রিয় সন্ধ্যাবেলায় তুমি করিবে প্রণাম,
তব দেবতার নাম নিতে ভুলিয়া বারেক প্রিয় নিও মোর নাম॥
একদা এমনি এক গোধূলি বেলা
যেতেছিলে মন্দির-পথে একেলা,
জানি না কাহার ভুল তোমার পূজার ফুল
আমি লইলাম -
সেই দেউলের পথ সেই ফুলের শপথ
প্রিয়, তুমি ভুলিলে হায় আমি ভুলিলাম॥
পথের দুঁধারে সেই কুসুম ফোটে
- হায় এরা
ভোলেনি,
বেঁধেছিলে তরু শাখে লতার যে ডোর হের আজো
খোলেনি।
একদা যে নীল নভে উঠেছিল চাঁদ
ছিল অসীম আকাশ ভরা অনন্ত সাধ,
আজি অশ্রু-বাদল সেথা ঝরে অবিরাম॥
-
রচনাকাল ও স্থান: গানট র রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না। বুলবুল পত্রিকার বৈশাখ-আষাঢ় ১৩৪১ (এপ্রিল-জুলাই১৯৩৪ খ্রিষ্টাব্দ) সংখ্যায় গানটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল। এই সময় নজরুলের বয়স ছিল ৩৪ বৎসর ১১ মাস।
- গ্রন্থ:
-
গানের মালা
- প্রথম সংস্করণ [আশ্বিন ১৩৪১ বঙ্গাব্দ (সেপ্টেম্বর-অক্টোবর ১৯৩৪ খ্রিষ্টাব্দ)। ২০। ইমন মিশ্র-কার্ফা]
- নজরুল রচনাবলী। জন্মশতবর্ষ সংকলন ষষ্ঠ খণ্ড। বাংলা একাডেমী, ঢাকা। জ্যৈষ্ঠ ১৪১৯, জুন
২০১২। গানের মালা ২০। ইমন মিশ্র-কার্ফা। পৃষ্ঠা ২০৪-২০৫]
- পত্রিকা:
- বুলবুল [বৈশাখ-আষাঢ় ১৩৪১ (এপ্রিল-জুলাই১৯৩৪ খ্রিষ্টাব্দ)]
-
ভারতবর্ষ। ফাল্গুন ১৩৪১। [ফাল্গুন ১৩৪১ (মার্চ-এপ্রিল ১৯৩৫)। জগৎঘটক-কৃত
স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত।] [নমুনা]
- রেকর্ড:
- এইচএমভি [মে ১৯৩৭ (বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ ১৩৪৩)। মাদার কাস্ট নম্বর - ওএমসি
৩৮৮৭। শিল্পী: সিদ্ধেশ্বর মুখোপাধ্যায়। সুর নজরুল। রেকর্ডটি বাতিল হয়ে
যায়]
- এইচএমভি [মার্চ ১৯৩৮ (ফাল্গুন-চৈত্র ১৩৪৪)। এন ১৭০৫০। শিল্পী:
পদ্মরাণী চট্টোপাধ্যায়। সুর: কমল দাশগুপ্ত]
- সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী:
- সুরকার:
- কাজী নজরুল ইসলাম [জগৎঘটক-কৃত স্বরলিপি।
ভারতবর্ষ। ফাল্গুন ১৩৪১]
- কমল দাশগুপ্ত। [এইচএমভি [মার্চ ১৯৩৮ (ফাল্গুন-চৈত্র ১৩৪৪)। এন ১৭০৫০]
'যবে তুলসী তলায়' গানটি গেয়ে শিল্পী হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। ১৯৩৮ মার্চ
এইচএমভি থেকে প্রকাশিত হয়েছিল [এন ১৭০৫০]। গানটির সুর করেছিলেন
কমল দাশগুপ্ত। আসাদুল হক -এর রচিত ' নজরুলসঙ্গীতের অবিস্মরণীয় শিল্পী '
গ্রন্থ থেকে জানা যায়- এই গানটি প্রথমে রেকর্ডে গেয়েছিলেন সিদ্ধেশ্বর
মুখোপাধ্যায়। সুরকার ছিলেন
কাজী নজরুল ইসলাম।
নজরুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে গানটি রেকর্ড করা হলেও টেকনিক্যাল কারণে
রেকর্ডটি বাতিল করা হয়। এরপর সুধীরা সেনগুপ্তা ও ইন্দিরা সেনগুপ্তাকে দিয়ে
রেকর্ড করা হয়। এই দুই জনই যথাযথভাবে গানটি পরিবেশন করতে ব্যর্থ হলে-
রেকর্ডকৃত গান বাতিল করা হয়। এরপর রেকর্ড কোম্পানি
আব্বাসউদ্দীন আহমদকে দিয়ে গানটি রেকর্ড করার ব্যবস্থা করেন। চূড়ান্তভাবে
রেকর্ড করার দিন ধার্য হলেও,
আব্বাসউদ্দীন আহমদ জরুরী টেলিগ্রাম পেয়ে দেশের বাড়ি চলে যান। এরপর
গ্রামোফোন কোম্পানি এই গানটির জন্য ট্রেনার হিসেবে নিয়োগ দেন
কমল দাশগুপ্তকে।
নজরুল ইসলামের সুরারোপিত গানটি ছিল একটু জটিল।
কমল দাশগুপ্ত
নজরুল ইসলামের করা সুরকে একটি সরল করে, তথকালীন আধুনিক গানের মতো করে
পদ্মরাণীকে গানটি রেকর্ড করিয়েছিলেন।
- স্বরলিপিকার ও স্বরলিপি:
- জগৎঘটক।
ভারতবর্ষ। ফাল্গুন ১৩৪১। [ফাল্গুন ১৩৪১ (মার্চ-এপ্রিল ১৯৩৫)
- নীলিমা দাস।
[নজরুল
সঙ্গীত স্বরলিপি, বত্রিশতম খণ্ড, নজরুল ইন্সটিটিউট, ঢাকা। ফাল্গুন ১৪১৫। ফেব্রুয়ারি
২০০৯] ১৭ সংখ্যক গান। রেকর্ডে পদ্মরাণী চট্টোপাধ্যায়-র গাওয়া গানের সুরানুসারে স্বরলিপি করা হয়েছে।
[নমুনা]
- পর্যায়
- বিষয়াঙ্গ: ভক্তি ও প্রেম
- সুরাঙ্গ: স্বকীয় বৈশিষ্ট্য
- রাগ: ইমন-মালবশ্রী-মিশ্র
- তাল:
কাহারবা
- গ্রহস্বর: সা