বিষয়: রবীন্দ্রসঙ্গীত।
শিরোনাম: তোমরা হাসিয়া বহিয়া চলিয়া যাও 
পাঠ ও পাঠভেদ:
	- গীতবিতান (বিশ্বভারতী, কার্তিক ১৪১২)-এর পাঠ: বিচিত্র: ১৩১। 
	
		তোমরা হাসিয়া বহিয়া চলিয়া যাও   কুলুকুলুকল নদীর স্রোতের মতো।
আমরা 
      তীরেতে দাঁড়ায়ে চাহিয়া থাকি,
       মরমে গুমরি মরিছে কামনা কত।
আপনা-আপনি কানাকানি কর সুখে,
      কৌতুকছটা উছলিছে চোখে মুখে,
কমলচরণ পড়িছে ধরণী-মাঝে,
      কনকনূপুর রিনিকি ঝিনিকি বাজে॥ 
    
		
		অঙ্গে  অঙ্গে বাঁধিছ রঙ্গপাশে,,
       বাহুতে বাহুতে জড়িত ললিত লতা।br>ইঙ্গিতরসে ধ্বনিয়া উঠিছে হাসি,
      নয়নে 
      নয়নে বহিছে গোপন কথা।
আঁখি 
      নত করি একেলা গাঁথিছ ফুল,  মুকুর লইয়া যতনে বাঁধিছ চুল।
		গোপন 
      হৃদয়ে আপনি করিছ খেলা—
কী 
      কথা ভাবিছ,
    কেমন 
      কাটিছে বেলা॥
		
		আমরা 
      বৃহৎ অবোধ ঝড়ের মতো    আপন আবেগে  ছুটিয়া চলিয়া আসি
		
বিপুল 
      আঁধারে অসীম আকাশ ছেয়ে   টুটিবারে চাহি আপন হৃদয়রাশি।
তোমরা বিজুলি হাসিতে হাসিতে চাও,
   আঁধার 
      ছেদিয়া মরম বিঁধিয়া দাও—
গগনের 
      গায়ে আগুনের রেখা আঁখি   চকিত চরণে চলে যাও দিয়ে ফাঁকি
      ॥
    অযতনে 
      বিধি গড়েছে মোদের দেহ,
       নয়ন 
      অধর দেয় নি ভাষার ভরে—
মোহনমধুর মন্ত্র জানি নে মোরা,
     আপনা 
      প্রকাশ করিব কেমন ক’রে।
তোমরা কোথায় আমরা কোথায় আছি
কোনো সুলগনে হব না কি কাছাকাছি—
তোমরা হাসিয়া বহিয়া চলিয়া যাবে,
     আমরা 
      দাঁড়ায়ে রহিব এমনি ভাবে
      ॥
	
	- 
	পাণ্ডুলিপির পাঠ: রবীন্দ্রনাথের পাণ্ডুলিপি 
	
Ms 129
	-এ পাওয়া যায়।
	শিরোনাম: তোমরা ও আমরা।
	[নমুনা:
	
	প্রথমাংশ,
	
	দ্বিতীয়াংশ,
	
	তৃতীয়াংশ,
	
	চতুর্থাংশ]
পাঠভেদ: নাই
তথ্যানুসন্ধান
		- 
		ক. রচনাকাল ও স্থান: 
		শান্তিনিকেতন। ১৬ জ্যৈষ্ঠ ১২৯৯।
- 
		খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি: 
		 
		
- পত্রিকা:
			- 
			
			বীণাবাদিনী(পৌষ ১৩০৪ বঙ্গাব্দ)।
ইন্দিরাদেবীকৃত
স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত হয়েছিল।
 
গ. সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী:
		- 
		স্বরলিপিকার: 
- সুর ও তাল: 
		- 
		
		মিশ্র সুর।  রাগ : বেহাগ। অঙ্গ: কীর্তন  তাল : একতাল।  [রবীন্দ্রসংগীত: রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ। প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬।। পৃষ্ঠা: ৫৬]।
- 
অঙ্গ:  কীর্তন  তাল : একতাল।  [রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত, প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী, জুলাই ২০০১, পৃষ্ঠা: ৯৮।]